বাস্তবে গল্পটি আরো বিস্তারিত : সাইমন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। ২০১২ সালে চলচ্চিত্রের অভিষেক হওয়ার পর নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ‘পোড়ামন’ ছবির জন্য পেয়েছেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমা ‘লাইভ’। এই সি- ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০৫
প্রশ্ন : লম্বা বিরতির পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল আপনার নতুন ছবি। অনুভূতি কেমন?
সাইমন সাদিক : আমরা সিনেমার মানুষ। সিনেমা ছাড়া কিছুই ভালো লাগে না। করোনাভাইরাসসহ নানা ঝামেলায় দীর্ঘ দিন নতুন সিনেমা মুক্তি পায়নি। ওই অবস্থা থেকে বের হচ্ছি ‘লাইভ’ সিনেমার মাধ্যমে। এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগার অনুভূতি।
দীর্ঘ দিন পর আপনার নতুন ছবি। অথচ সেভাবে প্রচারণা দেখলাম না। কারণ কী?
- কারণটা আসলে আমিও খুঁজে পাচ্ছি না। সাংবাদিক ভাই-বন্ধুরা যা করছে, এতটুকুই। ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক এবং আমি হতাশ। এত ভালো একটি সিনেমার প্রচারণায় এমন ঘাটতি দেখে দুঃখ ছাড়া কিছুই করার নেই।
সেটি কেন? নির্মাতারা কী বলছেন?
- আমি বারবার যোগাযোগ করেছি, কিভাবে কী করা যায় তা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। আমার শিডিউলও দেয়া ছিল মুক্তির আগে ১৫-২০ দিন সিনেমার প্রচারণার জন্য। এখন প্রযোজনা সংস্থার কাউকেই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব প্রচারের চেষ্টা করছি। তবে প্রচারণার মূল দায়িত্বটা কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার।
সিনেমাটি এরই মধ্যে অনেক দর্শক দেখেছেন। আপনি কতটুকু আশাবাদী?
- সিনেমাটি সমসাময়িক একটি ঘটনার ওপর নির্মিত। এ সময়ের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই পরিচালক শামীম আহমেদ রনী সিনেমাটি বানিয়েছেন। সাইকো থ্রিলার যেমন হওয়া উচিত, তেমনই হয়েছে। যারা দেখেছেন, তারা প্রশংসা করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আনন্দিত এরকম একটি কাজের অংশ হতে পেরে।
আবারো মাহির সাথে জুটি বাঁধলেন। এবারের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
- মাহি দারুণ অভিনেত্রী। আগের চেয়ে অনেক পরিণত মানুষ ও অভিনেত্রী। লাইভ সিনেমায় তার চরিত্রটি পরিচালক যতটুকু আশা করেছিলেন, তার চেয়েও বেশি পেয়েছেন বলে আমি জানি। সামনে আমাদের ‘বুবুজান’, ‘নরসুন্দরী’ আর ‘অশ্রুঘর’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ওই সিনেমাগুলোও দর্শকদের ভালো লাগবে।
আপনার চরিত্রের অনেকগুলো শেড আছে। চরিত্রটি নিয়ে যদি বলতেন?
- এ প্রশ্নের উত্তরটি সবচেয়ে ভালোভাবে জানতে পারবেন সিনেমা হলে গেলে। বাইরে থেকে যা শুনবেন বাস্তবে গল্পটি আরো বিস্তারিত, আমার চরিত্রটিও সরলরৈখিক না। সাইকো থ্রিলার গল্প, তাই এখনই বেশি কিছু বলতে চাইছি না। অনেকে ভাবতে পারেন, চরিত্রটি নেগেটিভ। আসলে তা নয়। তবে গল্পের প্রয়োজনে কিছু জায়গার রিঅ্যাকশন অনেকের কাছে নেতিবাচক লাগতে পারে।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
- একটি দৃশ্যে টানা ১৬ মিনিট অভিনয় করেছি। কতটা মনোযোগ আর ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করলে আমার মতো একজন অভিনেতা এটি একবারই করতে পারে! টিজারেই রহস্যের ছায়া পাওয়া গেছে। গল্পটি একবার দেখতে বসলে দর্শক শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
লম্বা বিরতি দিয়ে আপনার সিনেমা মুক্তি পেল। এই বিলম্বের কারণ?
- আমার সাত-আটটি সিনেমা সেন্সর হয়ে আছে। মাঝখানে আড়াই বছর করোনার কারণে সব থেমে থাকল। বাকি দেড় বছর সিনেমা রিলিজ হবে হবে করে চলে গেল।
মুক্তির অপেক্ষায় কী আছে?
- শামীম আহমেদ রনীর ‘নরসুন্দরী’, শাহীন সুমনের ‘গ্যাংস্টার’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘অশ্রুঘর’, শওকত হোসেনের ‘নদীর বুকে চাঁদ’, বদিউল আলম খোকনের ‘দায়মুক্তি’ প্রভৃতি।
আপনি শিল্পী সমিতির দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন। কিন্তু এই সমিতি নিয়ে মানুষের নেতিবাচক ধারণা কাটছে না। এর কারণ কী?
- যখন দেখি কেউ একটি ভালো বিষয়কেও মন্দভাবে প্রকাশ করছে তখন কিছুটা খারাপ লাগে। ফেসবুক আছে, সেখানে লিখে দিচ্ছে। কিন্তু এখান থেকে (সমস্যা) কিভাবে সামনের দিকে আমরা এগিয়ে যাব তা কেউ বলছে না। আমার জায়গা থেকে বলব, বিব্রত হওয়ার কারণ নেই। চলচ্চিত্র বড় জায়গা। এটি নিয়ে একটু আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। আমি খুব একটা বিব্রত নই। তবে মাঝে মধ্যে মনে হয়, আপনার কী কোনো দায় নেই দেশের মানুষ হিসেবে? আপনার চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি কিংবা দেশ কিভাবে এগিয়ে যাবে তা নিয়ে কি আপনার কোনো দায় নেই?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা