২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পূর্ণিমার বিয়ের খবর শেয়ার দরকার নেই: সাবেক স্বামী

পূর্ণিমার বিয়ের খবর শেয়ার দরকার নেই: সাবেক স্বামী -

আবারো বিয়ে করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। পাত্রের নাম আশফাকুর রহমান রবিন। সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে একটি বহুজাতিক কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। তবে এসব বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই তার প্রথম স্বামী আহমেদ ফাহাদ জামালের। তিনি বিনীতভাবে সবাইকে অনুরোধ করেছেন, এ বিষয়ে কেউ যেন তার প্রতিক্রিয়া জানতে না চান।
তিনি বলেন, পূর্ণিমার বিয়ের খবর আমি আগেই জানি। যেহেতু আমরা বেশ কয়েক বছর আগেই আলাদা হয়ে গেছি; এখন যে যার মতো করে আলাদা সংসারের সিদ্ধান্ত নিতেই পারি। তবে আমার অনুরোধ এ বিষয়ে দয়া করে আমাকে এসএমএস করা এবং কল করা বন্ধ করুন। মানুষের জীবনে এসব ভালো জিনিস ঘটে। আমার সাথে খবর শেয়ার করার দরকার নেই। তার (পূর্ণিমা) জন্য শুভ কামনা। আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।
পূর্ণিমার প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবরটি ছিল গোপন। গত বৃহস্পতিবার নতুন সংসারের খবর প্রকাশ্যে আসার পর জানা যায়, তিন বছর আগেই প্রথম সংসার থেকে বিদায় নিয়েছিলেন পূর্ণিমা। নতুন বিয়ে ও স্বামী সম্পর্কে পূর্ণিমা বলেন, ‘রবিনের মধ্যে বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধসহ সব কিছু পেয়েছি আমি। সেখান থেকে সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। পরে দুই পরিবার আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দিলে গত ২৭ মে পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করি।’
তিনি জানান, কাজের সূত্র ধরেই রবিনের সাথে তার পরিচয়। কয়েক বছরের পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে পরস্পরের মন দেয়া-নেয়া। বিয়ের পরই তিনিসহ তার পরিবারের অন্যরা অসুস্থ ছিলেন। কারো কারো কোভিড ছিল। সে কারণে তার বিয়ের খবর জানাতে দেরি হয়েছে।
আগের বিয়ে ভাঙার খবর গোপন রাখা প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক নেই প্রায় তিন বছর। যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়ের বাবা সে। মেয়েটা স্কুলে পড়ে। সব বিবেচনা করে আমরা বিষয়টি জানাতে চাইনি।’ তিনি বলেন, ‘প্রথম বিয়ের সম্পর্কে আমার আগে থেকেই ঝামেলা ছিল। তা না হলে তো কেউ ইচ্ছা করে সংসার ভাঙতে চায় না।’ মেয়ে এখন পূর্ণিমার সাথে আছে এবং পূর্ণিমার নতুন সম্পর্ককে সে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ (২০১০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে- এফ আই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী লাল দরিয়া (২০০২), মতিউর রহমান পানু পরিচালিত প্রণয়ধর্মী মনের মাঝে তুমি (২০০৩), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও নাট্যধর্মী সুভা, এস এ হক অলিক পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮) উল্লেখযোগ্য।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement