২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আজিজুর রহমানকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন নাইম-শাবনাজ

-

আজিজুর রহমান, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন প্রথিতযশা চলচ্চিত্র পরিচাল, পুরোধা ব্যক্তিত্ব। অনেকের ভাষায় একজন আজিজুর রহমান-একটি প্রতিষ্ঠান, চলচ্চিত্র সম্পর্কে বিষদ জানার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। গেলো ১৪ মার্চ তিনি ৮২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ১৯৫৭ সালে একটি পত্রিকায় এহতেশামের ঘোষণা দেখলেন যে তিনি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। একদিন এহতেশামের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তিনি। দেখা করার পর এহতেশামের সিনেমায় শিল্প নির্দেশক হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করার কথা বললে এহতেশাম তাকে তৃতীয় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার কথা বলেন। ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে এহতেশামের তৃতীয় সহকারী হিসেবে আজিজুর রহমানের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। এহতেশামের পরবর্তী চলচ্চিত্র ‘রাজধানীর বুকে’ প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালে মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে আজিজুর রহমান প্রথম ‘সাইফুল মুলক বদিউজ্জামান’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ‘মধুমালা’, ‘সমাধান’, ‘স্বীকৃতি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘মাটির ঘর’, ‘রূপবান’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘আলী বাবা ৪০ চোর’,‘ডাক্তার বাড়ি’সহ ৫৩টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। আজিজুর রহমানের পরিচালনায় নাইম-শাবনাজ অভিনয় করেছিলেন ‘দিল’, ‘ জিদ’, ‘ ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ সিনেমায়। একজন আজিজুর রহমানের চলে যাওয়ায় নাইম-শাবনাজও ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। নাইম-শাবনাজ বলেন, ‘আমরা দু’জন যখন শ্রদ্ধেয় এহতেশামের চাঁদনী সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য কাজ শুরু করি, তখন সহকারী পরিচালক হিসেবে আজিজ ভাইকে আমরা পেয়েছি। পরবর্তীতে তো পরিচালক হিসেবেই তার নির্দেশনায় কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি অন্য অনেক পরিচালকের চেয়ে একেবারেই আলাদা ছিলেন। কারণ তিনি খুব কম মেকাপে একদম ন্যাচারাল অ্যাক্টিংটা পছন্দ করতেন বেশি। আজিজ ভাই আমাদের দু’জনকে ভীষণ স্নেহ করতেন, আমাদেরও পরম শ্রদ্ধার মানুষ ছিলেন তিনি। তার মতো এতো গুণী পরিচালক, মেধাবী পরিচালক যুগে যুগে জন্মায় না। আমরা সত্যিকারের একজন মহান পরিচালককে হারালাম। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’


আরো সংবাদ



premium cement