কানে মার্কিনিদের সমালোচনা করলেন কানাডিয়ান পরিচালক
- আলমগীর কবির
- ২৬ মে ২০২২, ০০:০০
কান ফ্রান্স থেকে
যুক্তরাষ্ট্রকে সম্পন্ন ‘উন্মাদ’ রাষ্ট্র বলেছেন কানাডিয়ান পরিচালক ডেভিড ক্রোনেনবার্গ। দেশটিতে গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়ার ফলে তার এই মন্তব্য। মঙ্গলবার পালে দ্যা ফেস্টিভালে চলমান কান চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম দিনে তার নতুন সিনেমা ‘ক্রাইম অব দ্যা ফিউচার’-এর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে মৌলিক অধিকারের নামে ‘রো ভি. ওয়েড’ আইনের স্বীকৃতির মাধ্যমে ‘উন্মাদ’-এর মতো কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আপনার শরীরের ভেতর যখন আরেকটি দেহ আসে তখন তার মালিকানা কার সেটা আগে বুঝতে হবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ২২ জানুয়ারি নতুন একটি আইনের অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যেটি ‘রো ভি.ওয়েড’ নামে পরিচিত। ফলে যেকোনো মহিলা ইচ্ছে করলেই গর্ভপাত করতে পারেন। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতাও দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পর আরো কিছু দেশ এই আইন বাস্তবায়ন করেছে। ‘ক্রাইম অব ফিউচার’ চলচ্চিত্রে এই বিষয়টির সমালোচনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডেভিড ক্রোনেনবার্গ বলেন, এই সিনেমার গল্প আমি লিখেছিলাম ২০ বছর আগে। কিন্তু আপনি এটা দেখলে মনে হবে আরো পরে বোধয় এরকম কিছু একটা ঘটবে বা ঘটতে যাচ্ছে। খুব সহজ করে গর্ভপাতকে আমি বলব এটা এক ধরনের অত্যাচারী মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ। বিশ্বের যেকোনো যায়গায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটা করা হয়। এর মধ্যমে ব্যক্তি তার প্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করেন। ডেভিড ক্রোনেনবার্গ বলেন, ‘কানাডায় আমরা মনে করি যে আমেরিকার সবাই পুরোপুরি উন্মাদ হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ মূল্যবোধ হারিয়েছে। তারা নিজেরাও বিশ্বাস করতে পারে না যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তারা কী করছেন।’ তিনি বলেন, ‘রো ভি. ওয়েড’ আইন নয়, অন্যসব ক্ষেত্রেও তারা বাস্তবতা এবং ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে সিদ্ধান্ত নেন। সিনেমায় সরকারি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয় করেছেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। বলেন, ‘মৌলিক অধিকারের নামে আমরা হত্যাকে বেছে নিতে পারি না। সময়ের সাথে যোগের অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের তার সাথে মানিয়ে চলতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনের পর সিনেমার কলাকৌশলীরা সাংবাদিকদের সাথে ছবি তোলার জন্য কিছু সময় দেন। তবে মঙ্গরবার লোকজন বেশি থাকায় সে সুযোগ দেননি কর্তৃপক্ষ।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনের সব প্রদর্শনী, সংবাদ সম্মেলন এবং বিভিন্ন আয়োজন হয়ে থাকে পালে দে ফেস্টিভাল ভবনে। এর বাইরে প্রতিদিন স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে উৎসবটি নতুন আঙ্গিকে রূপ নেয়। তখন ভূমধ্যসাগরের তীরে ম্যাসি সৈকত হয়ে ওঠে উন্মুক্ত প্রেক্ষাগৃহ। বিলাসবহুল পাঁচতারকা হোটেল ম্যাজেস্টিক ব্যারিয়েরের সামনে ‘সিনেমা দ্যু লা প্লাজ’ শীর্ষক এই আয়োজন উৎসবের অংশগ্রহণকারী ও সাধারণ চলচ্চিত্রপ্রেমীরা বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারেন। বালিতে সারি সারি চেয়ারে বসে বড় পর্দায় ছবি দেখার সুযোগ পান সবাই।
আগামী ২৮ মে সমাপনী রাতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের পিটার বোগডানোভিচ পরিচালিত ১ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট ব্যাপ্তির ‘দ্য লাস্ট পিকচার শো’ (১৯৭১)।
সংবাদ সম্মেলনের আগে সোমবার ‘ক্রাইম অব দ্য ফিউচার’ সিনেমাটির সিয়াল স্ক্রিনিং হয়েছে। সিনেমাটি শেষ হওয়ার পর দর্শকরা দাঁড়িয়ে ৭ মিনিট করতালির মাধ্যমে কলাকৌশলীদের অভিবাদন জানিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা