২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘কাশ্মির ফাইলস’ নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর

‘কাশ্মির ফাইলস’ নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর -

গত মার্চে ভারতজুড়ে মুক্তি পেয়েছিল ‘কাশ্মির ফাইলস’। তখন ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে থেকে ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। সেই দাবি খুব একটা পাত্তা দেয়নি দেশটির সরকার। উল্টো প্রতিদিন সিনেমার হল রিভিউ নিয়ে জাতীয়ভাবে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষোভ যখন তুঙ্গে তখন বিদেশ থেকে এলো সিনেমা নিষিদ্ধের খবর। সিঙ্গাপুর সরকার ছবিটি তাদের দেশে প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ছবির কাহিনী ও দৃশ্য সম্প্রীতিকে আঘাত করে, সিঙ্গাপুরে তৈরি হতে পারে অশান্তি। সে কারণেই একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি। এর আগে নিউজিল্যান্ডে এই সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছিল।
সমালোচকরা বলছেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছবি। অর্ধসত্য ও অনেকটা মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে সিনেমা বানানো হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক মাধ্যমে আসছে কাশ্মিরে কতজন পণ্ডিত খুন হয়েছেন এবং কতজন কাশ্মিরের মুসলিম ও শিখ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন।
কাশ্মিরে আক্রমণের শিকার হয়ে হিন্দু পণ্ডিতদের গণপ্রস্থান বা গণবিতাড়ন নিয়ে এই সিনেমা বানিয়েছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লøবী জোশি অভিনীত এই ছবিতে বর্তমান সময়ের কোনো বড় তারকা নেই, তথাকথিত বলিউডি ছবির মতো নাচ-গান বা মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা নেই, দর্শক আকর্ষণের চিরাচরিত মশলাও নেই। পরিচালকের দাবি, ‘বাস্তবভিত্তিক সিনেমা’ তৈরি করেছেন তিনি।
কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, পরিচালক সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সিনেমা তৈরি করেছেন। সত্য হলো, কাশ্মির থেকে পণ্ডিতদের যখন গণপ্রস্থান হয়েছে, তখন ফারুখ আবদুল্লা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। এটা রাজ্যপালের শাসনে হয়েছিল এবং জগমোহন তখন রাজ্যপাল ছিলেন।’
ওমরের দাবি, ‘সিনেমায় একবারের জন্যও দেখানো হয়নি, তখন কেন্দ্রে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিজেপি সরকারকে সমর্থন করছিল।’ ওমর বলেছেন, ‘আমি পণ্ডিতদের খুন করার তীব্র নিন্দা করছি। কিন্তু কাশ্মিরে মুসলমানরাও মারা গেছেন। শিখরাও মারা গেছেন।’
সূত্র : হিন্দস্থান টাইমস ও কাশ্মির টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement