মার্শে দ্যু ফিল্মে বাংলাদেশের ‘মশারি’
- আলমগীর কবির
- ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০, আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২২, ২১:২৪
কান চলচ্চিত্র উৎসবের দুনিয়াজুড়ে খ্যাতির অন্যতম কারণ মার্শে দ্যু ফিল্ম। এই শাখায় এবার স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘মশারি’। এটি পরিচালনা করেছেন নুহাশ হুমায়ূন। আগামী ২২ মে মার্শে দ্যু ফিল্মের অনলাইন প্লাটফর্মে ‘ফ্যান্টাস্টিক সেভেন’ ইভেন্টে চলচ্চিত্রটি সরাসরি দেখানো হবে।
২০১৯ সাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্রের বাজার মার্শে দ্যু ফিল্মের সাথে অংশীদারিত্বে ‘ফ্যান্টাস্টিক সেভেন’ আয়োজন করে আসছে স্প্যানিশ উৎসব সিটজেস কর্তৃপক্ষ। উদীয়মান নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে অর্থ তহবিল এবং সহ-প্রযোজনার সৃযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কানে সম্ভাবনাময় ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে তাদের সংযোগ ঘটিয়ে দিতে সাজানো হয়েছে উদ্যোগটি। প্রতি বছরের মতো এবারো মার্শে দ্যু ফিল্মে উপস্থাপনের জন্য নির্দিষ্ট ঘরানার নবীন প্রতিভাবানদের তুলে ধরে বিশ্বের এমন শীর্ষস্থানীয় সাতটি উৎসবের সাতটি ছবি নির্বাচন করা হয়েছে। এগুলোর কোনোটি পোস্ট-প্রোডাকশন পর্যায়ে রয়েছে, কোনোটির শুটিং শেষ হয়েছে সম্প্রতি। সংশ্লিষ্ট নির্মাতারা কানে বিনিয়োগকারী, পরিবেশক ও বিক্রয় এজেন্টদের সামনে নিজেদের ছবির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নতুন ধারার কিছু কাজ একত্র করার পাশাপাশি ফ্যান্টাসি ও ভৌতিক ধাঁচের ছবিতে সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক মত প্রকাশের প্রভাব তুলে ধরার মাধ্যমে নতুন ট্রেন্ডের ওপর আলোকপাত করে থাকে ‘ফ্যান্টাস্টিক সেভেন’। ‘ফ্যান্টাস্টিক সেভেন’ ইভেন্টে স্থান পাওয়া সাতটি ছবির পরামর্শদাতা হিসেবে কানে থাকবেন আমেরিকান নারী নির্মাতা আনা লিলি আমিরপুর। ২০১৪ সালে সানড্যান্স উৎসবে তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র ‘অ্যা গার্ল ওয়াকস হোম অ্যালোন অ্যাট নাইট’ অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জেতে। এর মাধ্যমে নজরে আসেন আনা লিলি। ২০১৬ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা শাখায় নির্বাচিত তার দ্বিতীয় ছবি ‘দ্য ব্যাড ব্যাচ’ (কিয়ানু রিভস, জিম ক্যারি, জেসন মোমোয়া, সুকি ওয়াটার হাউজ) স্পেশাল জুরি প্রাইজ জেতে। গত বছর ভেনিস উৎসবে তার পরিচালিত তৃতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘মোনা লিসা অ্যান্ড দ্য ব্লাড মুন’ (কেট হাডসন) প্রতিযোগিতা শাখায় নির্বাচিত হয়। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের প্রধান শহর অস্টিনে অনুষ্ঠিত সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘মশারি’। এর গল্পে দেখা যাবে, রক্তপিপাসু প্রাণী মশা বিশ্বকে গ্রাস করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু দুই বোন বেঁচে আছে। প্রাণে রক্ষা পেতে মশারির ভেতরে থাকতে বাধ্য হয় তারা। তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ, একে অপরকে বাঁচিয়ে রাখা। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল ও নুহাশের ভাগ্নী অনোরা। ‘ফ্যান্টাস্টিক সেভেন’ ইভেন্টে স্থান পাওয়া বাকি ছয়টি ছবি হলো স্পেনের ‘ভেনাস’ (সিটজেস-ইন্টারন্যাশনাল ফ্যান্টাস্টিক ফিল্ম ফেস্ট অব কাতালোনিয়া) ও ‘দ্য ব্যাড মাদার’ (গুয়াদালাখারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব), কোরিয়ার ‘সিউল হরর স্টোরি’ (বুচন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যান্টাস্টিক ফিল্ম ফেস্টিভাল), ফ্রান্সিয়া-সিরিয়ার ‘দ্য পোর্টাল’ (কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব), কানাডার ‘ডার্ক ন্যাচার’ (টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব) এবং ‘দ্য কেজ’ (নিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব)। গত বছর কানের মার্শে দ্যু ফিল্মে আমন্ত্রণ পায় নুহাশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র ‘মুভিং বাংলাদেশ’। সত্যি ঘটনা অবলম্বনে ঢাকা শহরের তরুণ একজন উদ্যোক্তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে ‘মুভি বাংলাদেশ’। অ্যাপ তৈরি করে পরিবহনের আকার বদলে দেন তিনি। ৭৪তম কানে বিভিন্ন দেশের ফিল্ম প্রফেশনালদের সামনে ছবিটির সম্ভাবনা তুলে ধরেন দুই প্রযোজক আরিফুর রহমান ও বিজন ইমতিয়াজ।
‘মুভিং বাংলাদেশ’ গত বছর ভারতের এনএফডিসি ফিল্ম বাজারের কো-প্রোডাকশন মার্কেটে নির্বাচিত হয়। কো-প্রোডাকশন মার্কেটের সেরা প্রজেক্টগুলো ফিল্ম বাজার ও কানের মধ্যকার সহযোগিতার অংশ হিসেবে মার্শে দ্যু ফিল্মে আমন্ত্রণ পায়। ‘মুভিং বাংলাদেশ’ সেভাবেই আমন্ত্রিত হয়েছে। এ দিকে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান পেয়েছে ‘মশারি’। এ ছাড়া আছে গত বছর কানের আঁ সার্তে রিগায় নির্বাচিত বাংলাদেশের আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
নুহাশ জানিয়েছেন, তার মশারির পরবর্তী গন্তব্য আটলান্টা চলচ্চিত্র উৎসব। এতে স্থান পাওয়া কাজগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকে অস্কার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা