ইফতারে পান্তা-ইলিশ খেয়েছি : অর্ষা
- ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
নববর্ষের শুভেচ্ছা। এবার বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি কেমন?
দুই বছর পর এবার বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান হবে। বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এ দিবসটি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তবে আমার ভালো লাগছে রমজানের মধ্যে পয়লা বৈশাখ পেয়ে। কারণ রমজানে ইফতার নিয়ে এমনিতেই অনেক একসাইটেড থাকি আমরা, এর সাথে যোগ হলো পয়লা বৈশাখ। দুই আনন্দ একসাথে। করোনা পরবর্তী সময়ে এরকম একটি আয়োজন খুব দরকার ছিল আমাদের। ব্যক্তিগতভাবে আমি বাসায় বৈশাখের কিছু আয়োজন রাখব। ইফতারে ইলিশ মাছ আর পান্তা ভাত খাব।
ইদানীং আপনাকে নাটকের চেয়ে ওয়েব সিরিজে বেশি মনোযোগী মনে হচ্ছে। এর কারণ কী?
কারণটা খুব সহজ। আপনি যখন কোনো কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন তখন সেখানে অনেক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিভাবে কাজটা করলে পেশাটা ধরে রাখা যাবে সেই বিষয়টি এখানে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে ওঠে। আমি প্রথমে অভিনয়ে যুক্ত হয়েছিলাম শখের বসে। একটা সময় এটিকে যখন পেশা হিসেবে নেই তখন শুধু নাটক দিয়ে আর হচ্ছিল না। ঈদের সিজনে নিয়মিত কাজ পাওয়া যায় বাকি সময়টায় বেকার বসে থাকতে হয়। তখন নিজের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করে। এই হতাশা থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছে ওয়েব সিরিজ। এখানে কাজ করতে গেলে দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি লাগে; যা প্রফেশনের জন্য খুবই দরকার। তা ছাড়া ওয়েব সিরিজে কাজ করে আনন্দ পাই বেশি। এ কারণেই ওয়েব সিরিজ একটু বেশি করছি।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সাবরিনা’ দর্শক মহলে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর পেছনের গল্পটা কেমন?
লুক টেস্টের জন্য প্রথমে ডাকা হয়। তখন শুনি, যে দু’টি ক্যারেক্টার আছে, তাদের নাম একই। তারা একই সাথে কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে এগোবে। পরিচালক আশফাক নিপুণ ভাই বলেছিলেন, এই সাবরিনা তোমার আশপাশে হাজারটা আছে। আমাকে তাই আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি।
হাসপাতালে অনেক দৃশ্য। প্রস্তুতিটা কিভাবে নিয়েছিলেন?
পোড়ার পর ক্ষত স্থানে ড্রেসিংয়ের সময় কী রকম যন্ত্রণা হয় সেই অভিজ্ঞতা তো আমার নেই। নিপুণ ভাই আমাকে কয়েকটি রেফারেন্স ভিডিও দেখিয়েছেন। আমার কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন, যাদের এমন অভিজ্ঞতা আছে। তাদের সাথে গিয়ে দুই-একবার দেখেছি, তীব্র যন্ত্রণা হয়। কিন্তু আমার ওপর ফেক প্রস্থেটিক মেকআপ দেয়া। অনেকক্ষণ পর্যন্ত প্রস্থেটিক মেকআপ থাকলে সেখানে ইচিং করে, কিন্তু কোনো ব্যথা হয় না। সেখানে হাত দিলে উল্টো আরাম লাগতে থাকে। এক্সপ্রেশন হচ্ছে যন্ত্রণার, অথচ আমার লাগছে আরাম। মানে, এটি খুবই বিপরীতমুখী অনুভূতি ছিল।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কয়েকটা জায়গায় বেগ পেতে হয়েছে। আমরা শুটিং শুরু করি শীতে, শেষ হয় গরমে। অ্যাপ্রোনের একটা পোরশন পুরো কাটা, এর মধ্যে হাত প্রস্থেটিক করা। নড়াচড়া করা যাচ্ছে না। যে দিন শুটিং ছিল, দেখা গেল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুয়েই থাকতে হয়েছে। নাকের ভেতর অক্সিজেনের পাইপ ঢোকানো। এর মধ্যে অজ্ঞানের মতো পড়ে থাকা। অনেক শব্দ আসছে কানে। কিন্তু তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এই জার্নিটা সবচেয়ে কঠিন ছিল।
মেহ্জাবীনের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
২০০৯ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় ছিলাম আমরা। কিন্তু তার পর একসাথে আর কাজ হয়নি। শুটিংয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করা তো হয়েছেই। তবে ফ্রি না থাকলে খুব একটা কথা বলিনি। কারণ সব সময় আমরা ক্যারেক্টারে থাকার চেষ্টা করতাম।
মনে হয়নি, যদি মেহ্জাবীনের কাছে নিজের চরিত্রের গুরুত্ব হারায়?
আমি কখনোই কার চরিত্র ছোট বা কার বড়, তা ভেবে কাজ করিনি। অভিনয়কে কর্তব্য বলেই বিবেচনা করেছি। কাজ করতে গেলে অনেক সময়ই অনেক বড় আর্টিস্টকে ফেস করতে হয়। মেহ্জাবীন অনেক জনপ্রিয়। আমি মুগ্ধ হয়েছি ওর পেশাদারিত্ব, সময়নিষ্ঠা দেখে। কাজই একমাত্র জায়গা, যার মাধ্যমে গণ্ডি ভাঙ্গা যায়। আমি ভাবি না তার চেয়ে ভালো করতে হবে। আমি ভাবি, আমার চরিত্রটা কত ভালো করতে পারি।
সাবরিনা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এটি কি অভিনেত্রী অর্ষার পুনর্জন্ম?
গত বছর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ নিয়েও কিন্তু প্রচুর আলোচনা হয়েছিল। এ বছর যুক্ত হলো সাবরিনা। আমি নেটওয়ার্কের বাইরে ওয়েব ফিল্ম করার পর অনেকের কমেন্ট পড়েছি যে, আমার অভিনয় তারা প্রথম দেখেছেন। ‘সাবরিনা’ দেখেও অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন, আমার পুরনো আর কী কী কাজ আছে। এটি বুঝেছি, মন দিয়ে কাজ করলে একটা সময় ফল পাওয়াই যায়। আমি খুশি, দর্শক আমার অভিনয়ের ধরনটা পছন্দ করছেন। এটি দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দেয়।
সামনে কী আসছে?
এখন কিছু করছি না। দম নিচ্ছি। সামনের মাসে দুই-একটা ওটিটির কাজ করার সম্ভাবনা আছে। ঈদে টিভিতে বেশি প্রডাকশন করা হবে না মনে হয়। গত দুই বছর নিয়মিত ওয়েবেরই কাজ করছি। কিছু অন এয়ার হয়েছে, কিছু হবে। টেলিভিশনে দুই দিনে ১৫-২০টি সিন করার অভ্যাসটা নতুন করে করতে চাচ্ছি না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা