২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কুমার বিশ্বজিৎ যেভাবে কিশোরের সেরা গানে!

-

নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করেন যিনি তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের আশীর্বাদ, বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের গর্ব কুমার বিশ^জিৎ। তার পরবর্তী প্রজন্মের যে শিল্পী যখনই কোনো বিপদে পড়েছেন কিংবা গানবিষয়ক কোনো বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ নিজের অবস্থান ভুলে তখনই পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে কারণে তিনি ব্যতিক্রম, অনন্য। তাই তার পরের প্রজন্মের শিল্পী থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে তিনি অভিভাবক। অভিভাবক হিসেবে নানা বিপদে আপদে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। তবে এবার যা করেছেন তিনি, তা যেন অনেক বড় দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। বহুদিন ধরেই এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী কিশোর দাস চাইছিলেন লিটন অধিকারী রিন্টুর কথায় ও কুমার বিশ^জিৎ-এর সুরে একটি গান গাইবার। কিশোরের সেই স্বপ্নই পূরণ করলেন কুমার বিশ^জিৎ। ‘কান্দেরে ভাই কান্দে’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু, সুর করেছেন কুমার বিশ^জিৎ। গানটি গেয়েছেন কিশোর। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন আরাফাত সেতু। তবে এই মিউজিক ভিডিওর সবচেয়ে বড় চমক হলো কুমার বিশ^জিতের পরিকল্পনায় এই গানের অল্প কিছু অংশ গেয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ এবং মিউজিক ভিডিওতেও নিজের উপস্থিতি রেখেছেন মিউজিক ভিডিওর গল্পের প্রয়োজনেই। এর আগে বাংলাদেশের বেশ কিছু গানের তারকা শিল্পীর উপস্থিতি গেলেও নতুন প্রজন্মের শিল্পীর গানের ভেতর কিংবদন্তি কোনো শিল্পী নিজের কণ্ঠ ব্যবহার করেননি। কুমার বিশ^জিৎ সে দিক বিবেচনায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। কেন কিশোরের জন্য কুমার বিশ^জিতের এমন মহান উদারতা। জানতে চাইলে মুঠোফোনে আমেরিকা থেকে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন,‘আমি সব সময়ই নতুন প্রজন্মের জন্য, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। তার অনেক দৃষ্টান্ত আছে। অনেক দিন ধরেই কিশোর চাইছিল যে আমার এবং রিন্টুর ব্যাকরণে তার একটা গান হোক। এ গানটিই সেই গান। গানের মধ্যে আমার কণ্ঠের উপস্থিতি, ভিডিওতে আমার উপস্থিতি সবই মূলত আমার পরিকল্পনা। মূল কথা হলো আমি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের সময়কে স্পর্শ করে থাকতে চাই। এই গানের মাধ্যমে সেই থাকারই চেষ্টা।’ কিশোর বলেন, ‘এ আমার পরম সৌভাগ্য যে বিশ^জিৎ স্যার আমার প্রথম অ্যালবামেই টাইটেল সং নিখোঁজ সংবাদের সুর করেছিলেন। এরপর আরো একটি গান গেয়েছিলাম। তবে ফোক বা ফাংকি টাইপের যে ফোক এটা তো স্যারে গানে নিজস্ব একটা ধারা আছে, যেমন যারে ঘর দিলা, জন্মিলে মরিতে হইবে, একতারা বাজাইওনা-এই স্টাইলটা আমার ভীষণ পছন্দের, তিনি জানতেন আমার এই আগ্রহের কথা। আমি যেন সবসময় তা স্টেজ-এ গাইতে পারি, সেই ভাবনা থেকেই স্যার গানটি আমার জন্য করেছেন। আমি তার কাছে সারা জীবনের জন্য ঋণী হয়ে গেলাম।’ গানছবি এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেল এবং কুমার বিশ্বজিৎ ও কিশোর-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একসাথে মুক্তি পাবে ‘পহেলা বৈশাখ’ উপলক্ষে আগামী ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement