কাজে মনোযোগ না দিলে টিকে থাকা যায় না : মনিকা
- আলমগীর কবির
- ১৫ মার্চ ২০২২, ০০:০০
বিশ্বজুড়ে যে অভিনেত্রীর পরিচিত গ্ল্যামামের জন্য সেই মনিকা বেলুচি মনে করেন, শুধু সৌন্দর্য দিয়ে টিকে থাকা যায় না। সামনে এগোতে হলে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন ইতালিয়ান এই অভিনেত্রী।
গার্ডিয়ানের রিপোর্টার যখন প্যারিসের একটি হোটেলের বারে মনিকার সাথে বসেছিলেন, তখন সাধারণ মানুষের মতোই কফি পান করছিলেন। এমকি লরা ক্যাপেল নামের সাংবাদিক নিজে কফি অর্ডার না করায় মনিকা উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অর্থ্যাৎ তিনি সামনের মানুষটির ব্যাপারে সতর্ক ও সহানুভূতিশীল। মনিকা বেলুুচির ক্যারিয়ারে ইতালিয়ান ও ফ্রেঞ্চ আর্ট ঘরানার সিনেমার পাশাপাশি ম্যাট্রিক্সের সিকুয়েলের মতো ব্লকবাস্টার রয়েছে। ম্যালেনা আজো সারা বিশ্বে তুমুল প্রশংসিত, আলোচিত। ৫০ পেরিয়ে নিজের সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত করছেন তিনি। একটি স্টেজ ড্রামায় অভিনয় করেছেন মনিকা। টম ভল্ফের পরিচালনায় নাটকটির নাম মারিয়া কাল্লাস : লেটারস অ্যান্ড মেমোয়ারস। প্যারিসে ওপেনিং হয়ে নাটকটি ইতালি, গ্রিস ও তুরস্কে মঞ্চস্থ হয়েছে। গত ডিসেম্বরে লন্ডনে হার ম্যাজেস্টিস থিয়েটারে নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা থাকলেও ওমিক্রনের কারণে পিছিয়ে এপ্রিলে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভল্ফের নাটকটি তার ২০১৯ সালের বই অবলম্বনে তৈরি। নাটকটি কাল্লাসের (আমেরিকান-গ্রিক অপেরা গায়িকা) ৩৫০টি চিঠি ও অসমাপ্ত স্মৃতিকথার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। কাল্লাসের লেখার ওপর কাজ করার ইচ্ছা মনিকার বহুদিনের। কিন্তু মঞ্চে কাজ করার ব্যাপারে তার মধ্যে ভীতি কাজ করত। এতদিন মঞ্চে কাজ করার জন্য অনেক প্রস্তাব এলেও মনিকা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বহুদিনের চেষ্টায় তিনি মঞ্চভীতি কাটিয়ে উঠেছেন। এখন শেষ পর্যন্ত মঞ্চে উঠে কেমন লাগে সে প্রশ্ন করা হলে মনিকা বলেন, ‘মাঝে মাঝে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’ এতদিন যাদের ফিরিয়ে দিতেন, দর্শক সারিতে তাদের কেউ কেউ উপস্থিতও থাকেন। সে কথা মনে করে লাজুক হেসে বলেন, ‘ব্যাপারটা অস্বস্তিকর। সে মানুষগুলো সামনে বসে থাকে এবং পুরো বিষয়টা সামলে নিতে হয় নিজেকে। আসলে আমার মধ্যে এখনো কিছু ভীতি কিন্তু ঠিকই কাজ করে।’ ভল্ফের সাথে মনিকাকে ভল্ফের এক বন্ধু পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কাল্লাসের লেখা পড়ার পর মনিকার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভল্ফ বলেন, ‘কাল্লাসের চিঠিগুলো পড়ে তার আবেগ পুরোটাই ধরতে পেরেছিলেন মনিকা। জানালা দিয়ে খানিকটা আলো এসে মনিকার গালে পড়ছিল এবং আমার মনে হচ্ছিল, এখানে কাল্লাসই বসে আছেন।’ কাল্লাসের জীবন, অপেরায় তার গান ও অন্যান্য টানাপড়েন নিয়ে সাজানো গল্পটি। মাঝে মধ্যে এসেছে অ্যারিস্টটল ওনাসিসের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা। সব মিলিয়ে কাল্লাসের জীবন জটিলতার সম্পর্কে মনিকা বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এসে মনে হয় তার জীবনে কেবল সঙ্গীতই ছিল। বাকি সব হারিয়ে গিয়েছিল।’
মূলত মনিকার মঞ্চভীতি কাটার পেছনে কিছু বিষয় কাজ করেছে। এখানে কাল্লাসের ওয়ার্ড্রোব থেকে ১৯৬০ সালের মিলান কালেকশনের একটি কালো পোশাকের ভূমিকা আছে। ‘পোশাকটি একদম ঠিকঠাক হয়েছিল আমার গায়ে যেন কোনো রহস্য করছেন, এমন করে ফিসফিসিয়ে বলেন মনিকা। স্বাভাবিকভাবেই একটি রেপ্লিকা তৈরি করে অভিনয়ে ব্যবহার করা হয়। তবে মনিকা ঠিক কাল্লাসের ব্যবহার করা পোশাকটিই পরতে চেয়েছিলেন। মনিকা বলেন, ‘পোশাকটি ছাড়া অভিনয় করতে আমি ভয় পাচ্ছিলাম।’
নাটকটি কোথায় মঞ্চায়িত হচ্ছে, তার ওপর ভিত্তি করে মনিকা ইতালিয়ান, ফ্রেঞ্চ বা ইংরেজিতে কথা বলেন। এখানে আরেকটি বিষয় হলো কাল্লাসও তিনটি ভাষা জানতেন। মনিকা এমনিতেও নিজের ডাবিং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজেই করেন। কাল্লাসের নিজের একটি ভিন্ন টান ছিল। সেটা কেমন করে আনেন, এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘যখন কোনো কিছু প্রকাশ করার সময় আপনি গভীরে ঢুকে যান, তখন তা আপনা-আপনি বেরিয়ে আসে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা