২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো ইনভেস্টরের অভাব : কেয়া

-

গত কয়েক বছর ধরেই চলচ্চিত্রের রুগ্ন অবস্থা। এর মধ্যে মহামারী করোনাভাইরাসের হানা পরিস্থিতি আরো নাজুক বানিয়েছে। এখান থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে ভালো ইনভেস্টরের বিকল্প দেখছেন না অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া। তিনি বলেন, ‘অন্য শিল্প থেকে চলচ্চিত্র সম্পন্ন আলাদা। এখানে খুব ভেবেচিন্তে টাকা লগ্নি করতে হয়। শখ করে দুই-একটা সিনেমা বানিয়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে অবশ্য এত কিছু ভাবতে হয় না। এ ধরনের ইনভেস্টর ইন্ডাস্ট্রির জন্য তিকর। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থার জন্য শখের ইনভেস্টররাই দায়ী। করোনার এই সঙ্কটে এসে সব কিছু ভাবতে হবে প্রফেশনালি। যে যতটুকুই লগ্নি করুক চলচ্চিত্রের বাস্তব অবস্থা মাথায় রেখে করলে রুগ্ন অবস্থা স্বাভাবিক হবে খুব দ্রুত।’
কেয়া যখন শোবিজাঙ্গনে পা রাখেন তখন দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১৩০০টি। এখন সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৭০টিতে। এর মধ্যে নিয়মিত ছবি চলে ১৩০টি প্রোগৃহে। বাকিগুলো চালু হয় বড় উৎসবগুলোতে। ঠিক এই পরিসংখ্যান মাথায় নিয়ে চলচ্চিত্রে ভালো বিনিয়োগকারী প্রত্যাশা করা কতটা বাস্তবসম্মত? কেয়া বললেন, ‘যেকোনো অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভালো ইনভেস্টর প্রত্যাশা করাটাই স্বাভাবিক। আমাদের এখানে ভালো ইনভেস্টরের খুব অভাব। প্রোগৃহের সংখ্যা অনেক কমে গেছে সত্যি, তবে চলচ্চিত্রে লগ্নি করা টাকা উঠিয়ে নেয়ার ত্রে কিন্তু বেড়েছে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনেকেই এখন ভালো আয় করছেন। বড় পর্দার পাশাপাশি নেটফিক্স, আইফিক্সে কিভাবে ছবিগুলো ব্যবহার করা যায় সেটাও চিন্তা করতে হবে।’
পার্শ্ববর্তী দেশের শাহরুখ-দীপিকারা এখন ডিজিটাল প্লাটফর্মকে স্বাগত জানাচ্ছেন। অথচ আমাদের এখানে এ বিষয়গুলো নিয়ে কেউ ভালোভাবে চিন্তা করছেন বলে মন হয় না উল্লেখ করে কেয়া বলেন, সময়ের সাথে তাল মেলাতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা অভিনয় করে বাঁচি, অভিনয়ই আমাদের পেশা। মাসের পর মাস যদি আমরা ক্যামেরার বাইরে থাকি তাহলে শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, মানসিকভাবেও অনেক ভেঙে পড়তে হয়। বাস্তবতা বিবেচনায় বলিউডের প্রথম শ্রেণীর তারকারাও ডিজিটাল প্লাটফর্মকে স্বাগত জানাচ্ছেন অথচ আমরা শুধু পিছিয়ে যাচ্ছি আর হতাশাকে স্বাগতম জানাচ্ছি।’
করোনা শুরু হওয়ার আগে কেয়া কাজ করছিলেন রাকিবুল আলম রাকিবের ‘ইয়েস ম্যাডাম’ ছবিতে। ওই ছবি কাজের অগ্রগতি নিয়ে কেয়া বলেন, ‘ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। ডাবিংয়ের কাজ বাকি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ডাবিংয়ের কাজ হবে। যারা অ্যাকশন-রোমান্টিক মিশেল গল্প পছন্দ করেন তাদের কাছে ছবিটি ভালো লাগবে।’
গত ডিসেম্বরে ‘ইয়েস ম্যাডাম’ ছবির শুটিং শুরুর আগে চার বছরের লম্বা বিরতি ছিল কেয়ার। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এখন এক নায়ক-নির্ভর হয়ে গেছে। শাকিব খান ছাড়া কেউ নিয়মিত কাজ করছেন না। তাই চাইলেও পছন্দের ছবিতে কাজ করা সম্ভব হয় না। আমিন খান, রিয়াজ, ফেরদৌস ভাই যদি কাজ করতেন তাহলে হয়তো আমাদেরও নিয়মিত দেখা যেত।
তিনি বলেন, শুধু আমি কেন আরো অনেক অভিনেত্রী ভালো গল্প এবং সহশিল্পীর অভাবে চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন। এতে আমাদের সাথে ইন্ডাস্ট্রিরও তি হয়েছে। তবে মহামারীর এই সময়ে সবাই যদি একাগ্রতার সাথে উদ্যম নিয়ে কাজ করেন তবে অবশ্যই চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরবে।


আরো সংবাদ



premium cement