পূর্ণিমার সান্নিধ্যে টুম্পার মোহনীয় মুহূর্ত
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০, আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:১৬
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমার প্রতি গভীর ভালোবাসা রয়েছে গয়না বাকসোর চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পার। পূর্ণিমার অভিনয় এবং ব্যক্তিত্বের প্রতি তার এই ভালোবাসা একসময় শখের মতোই ছিল কিন্তু তা বাস্তব হয়ে ওঠে গত ৫ ফেব্রুয়ারি, যখন পূর্ণিমার সাথে তার দেখা হয়ে যায়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের স্টুডিওতে এক রান্না-বিষয়ক অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা অতিথি হিসেবে উপস্থিত হলে সেখানে টুম্পার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ হয়। সে দিনটি ছিল বিশেষ, পূর্ণিমা এবং টুম্পার মধ্যে এক আবেগপূর্ণ মুহূর্তের সৃষ্টি।
দু’জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূর্ণিমা মাঝে মধ্যে ‘গয়না বাকসো’র অনলাইন পেজ থেকে নিজের পছন্দসই জামাও কিনে নেন। অন্যদিকে পূর্ণিমার অভিনয় ও ব্যক্তিত্ব টুম্পাকে ভীষণ মুগ্ধ করে। সেদিন চ্যানেল আইয়ের চার নম্বর স্টুডিওতে পূর্ণিমা মেকআপ নিচ্ছিলেন। পূর্ণিমাকে দেখা মাত্রই টুম্পার ভেতর যেন এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিল। দু’জনের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। মেকাপ শেষে পূর্ণিমা উঠে এলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন টুম্পা। এরপর গয়না বাকসোর পক্ষ থেকে পূর্ণিমার হাতে বিশেষ উপহারও তুলে দেয়া হয়। একটা সময় গল্পে গল্পে পূর্ণিমাও শেয়ার করেন, কীভাবে কেমন করে গয়না বাকসোর অনলাইন পেজের সাথে তার সম্পৃক্ততা ঘটল। পূর্ণিমার কাছ থেকে নিজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের গল্প শুনে ভীষণ মুগ্ধ হন টুম্পা। একজন নায়িকা হিসেবে পূর্ণিমা তার দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে বহু ভক্তের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন। কিন্তু টুম্পার বিষয়টি একেবারেই আলাদা। কারণ টুম্পা যখন লাইভে নতুন নতুন জামা শাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন, তখন মাঝে মধ্যে তা চোখে পড়ে পূর্ণিমার। সেই লাইভ থেকেও নিজের পছন্দসই জামাও অর্ডার করেন পূর্ণিমা। এভাবেই গয়না বাকসোর সাথে পূর্ণিমার নিজের ভালোলাগা থেকেই এক ধরনের সম্পৃক্ততার সৃষ্টি। মোবাইলে, ক্যামেরায় দু’জন ছবি তোলা শেষেই পূর্ণিমার ডাক আসে শুটিং সেটে যাবার। পূর্ণিমা টুম্পাকে নিয়ে সেটে যান, কেকা ফেরদৌসীর সাথে পরিচয়ও করিয়ে দেন টুম্পাকে। কেকা ফেরদৌসী তখন বলেন, পূর্ণিমা তোমার অতিথিকে বসতে বলো, আমরা রান্না করার পর খেয়ে যাবে। এরপর অনেকটা সময় টুম্পা বসে থেকে পূর্ণিমার অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করা শেষে বিদায় নিয়ে আসেন। পূর্ণিমা বলেন, ‘টুম্পার সাথে সময়টা ছকে বাঁধা জীবনের বাইরের সময়। একটা অন্যরকম সময় কাটল। টুম্পার আন্তরিকতা মুগ্ধ করেছে।’ টুম্পা বলেন, ‘জীবনে কিছু মুহূর্ত আসে সারা জীবন মনে গেঁথে থাকার জন্য। পূর্ণিমা আপুকে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালোলাগে। তার অভিনয়, তার ব্যক্তিত্ব, তার ভীষণ সুন্দর মুখের মিষ্টি হাসি আমাকে মুগ্ধ করে। সেই তিনি আমাকে এভাবে এমন করে আপন করে নেবেন, কল্পনাও করিনি কোনো দিন। আমাকে তিনি এত সম্মান করলেন যা ভাবাই যায় না। ধন্যবাদ অভি মঈনুদ্দীন ভাইকে এই সুন্দর সময়টুকু উপহার দেয়ার জন্য।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা