২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মায়ের জন্যই শোবিজে দুই বোন

মায়ের জন্যই শোবিজে দুই বোন -

একজন সাথী, অন্যজন সামান্তা। সাথী আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনের একজন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী। বিশেষত ফোক গানের ক্ষেত্রে সাথী অনন্য। গানের ভুবনে নিজের গান দিয়ে আলাদা একটা স্টাইল তিনি তৈরি করতে পেরেছেন। যে কারণে তার আলাদা একটা ফ্যান বেজও তৈরি হয়েছে। যারা তার নতুন নতুন গান প্রকাশের অপেক্ষায় থাকেন। অন্যদিকে তারই ছোট বোন সামান্তা, এই প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে আলোচিত দর্শকপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। অভিনয়ে সাামান্তাও ধীরে ধীরে তার স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টায় আছেন। ট্রেন্ডি গল্পের বাইরেও তিনি জীবনঘনিষ্ঠ গল্পের নাটকেও অভিনয় করছেন। তার অভিনীত নাটকগুলোও দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলছে। তবে দুই বোনোর বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এবং নাট্যাঙ্গনে যে অবস্থান তৈরি হয়েছে তার পুরোটারই নেপথ্যের নায়ক তাদের মা রাজিয়া আফরোজার। মূলত মায়ের ইচ্ছাতেই ছোটবেলায় সাথীর গান শেখা। গান এমনই এক বিষয়, যা ছোটবেলা থেকেই আসলে চর্চা করে আসতে হয়। যে কারণেই সাথীর মা সাথীকে ছোটবেলায় গান শেখানো শুরু করেন। আবার যখন পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলেন সাথী তখন তার মা-ই তার গানের চর্চাটা বন্ধ করে দেন। আবার একটা সময়ে এসে তার মা যখন বুঝতে পারেন যে, গানের প্রতি সাথীর প্রবল টান বা নেশা যা করলে সাথীর মনটাও চাঙ্গা থাকে তখন তার মা-ই মূলত তাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দেন গানে মগ্ন থাকার জন্য। সাথী বলেন, ‘ভার্সিটিতে পড়তে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হয় গানকে পেশাগতভাবে নেয়ার ক্ষেত্রে। ২০১৪-তে এইচএসসি সম্পন্ন করার পর যখন ঢাকায় এলাম। তখন থেকেই মূলত গানে আমার পেশাগতভাবে যাত্রা শুরু। তখন থেকেই স্টেজ শোতে গান করা, মৌলিক গান প্রকাশ। আর আমার সব কিছুতে আম্মার অনুপ্রেরণা। সব মিলিয়ে আমি গানেই এগিয়ে এলাম পেশাগতভাবে। আমার আম্মুর একটিই কথা ছিল, সন্তানকে নিয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকবে। কিন্তু তাদেরও একটি ব্যক্তিগত ইচ্ছা থাকবে, সে কী হতে চায়। তো আমি একজন গায়িকাই হতে চেয়েছিলাম বলে, আম্মু আমার পাশে ছিলেন। নিশ্চয়ই আব্বুর নীরব সমর্থন ছিল বলেই আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement