কখনো ভাবিনি ২৭ বছর পর আবার পরিচালনা করব : জনি ডেপ
- সাকিবুল হাসান
- ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
১৯৯৭ সালে ‘দ্য ব্রেভ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথমবার পরিচালনা করার পর ২৭ বছর বিরতি দিয়ে আবার ক্যামেরার পেছনে ফিরেছেন হলিউডের সুপারস্টার জনি ডেপ। তার নতুন চলচ্চিত্র ‘মোদি, থ্রি ডেস অন দ্য উইং অব ম্যাডনেস’ ইতালীয় শিল্পী আমেদিও মোদিলিয়ানির জীবন ও সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরেছে, যা প্যারিসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের পটভূমিতে নির্মিত। ডেপের পরিচালনায় এই সিনেমা সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ডেপ দীর্ঘ বিরতির পর পরিচালনায় ফেরার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি ২৭ বছর পর আবার পরিচালনা করব। কিন্তু যখন আল পাচিনো আমাকে এই প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব দেন, তখন আমি আর না বলতে পারিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘জনি, তুমি তো জানো ওই মোদিলিয়ানি প্রজেক্টটা আমি করতে চেয়েছিলাম? কেন তুমি এটি পরিচালনা করো না?’ এই প্রস্তাবের পর আমি বললাম, ‘কেন নয়?’
মোদিলিয়ানি ছিলেন ২০ শতকের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী, যিনি তার চিত্রকর্ম ও মূর্তি নির্মাণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তবে, তার জীবন ছিল সংগ্রামমুখর ও সংক্ষিপ্ত। ১৯১৬ সালে প্যারিসে বসবাসরত অবস্থায় তিনি ব্যক্তিগত ও পেশাগত নানা সমস্যার সম্মুখীন হন, এর মধ্যেও শিল্পী জীবনে তিনি নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছিলেন। ডেপ বলেন, ‘মোদিলিয়ানি ছিল একজন শিল্পী, যিনি নিজেকে সমাজের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রকাশ করেছিলেন। তার শিল্প, জীবন এবং সংগ্রাম আমার কাছে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। তার দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন সম্ভাবনার জন্য জায়গা তৈরি করেছিল, যা আমাকে মুগ্ধ করে।’ ডেপ পরিচালনায় তার নিজের অভিজ্ঞতা ও শৈলীকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দ্য ব্রেভ’ ছিল এক হতাশাজনক অভিজ্ঞতা, তবে এই চলচ্চিত্রে আমি অনেক বেশি স্বাধীনতা পেয়েছি। এখানে আমি বাচ্চার মতো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেছি। আমাদের কাস্ট এবং ক্রু এতই ভালো ছিল যে আমি নিশ্চিত ছিলাম, আমরা দারুণ কিছু সৃষ্টি করতে পারব।’ অভিনেতা রিকার্ডো স্কামার্চিও এই চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ডেপের পরিচালনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ডেপের পরিচালনা ছিল খুবই প্রাকৃতিক ও মুক্ত। তিনি আমাদেরকে সীমাবদ্ধতা ছাড়াই অভিনয় করার সুযোগ দিয়েছেন, যা আমাদের সেরা পারফরম্যান্সে সাহায্য করেছে।’
এই চলচ্চিত্রের কাস্টে অনেক নামি অভিনেতা রয়েছেন, যারা তাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি জীবন্ত করে তুলেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলেন আল পাচিনো। এ ছাড়াও রয়েছেন স্টিফেন গ্রাহাম, অ্যান্টোনিয়া ডেসপ্ল্যাট, ব্রুনো গাউয়েরি, রায়ান ম্যাকপারল্যান্ড ও লুইসা। তাদের অভিনয় চলচ্চিত্রের গভীরতাকে আরো বৃদ্ধি করেছে।
জনি ডেপ সৌদি আরবের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি আরবের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি আমাকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে আল-উলা এবং জেদ্দার ঐতিহাসিক এলাকাগুলোর সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য আমি চিত্রায়িত করতে চাই। সৌদি আরবের প্রকৃতি ও সংস্কৃতি আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’
ডেপ আরো জানান, তিনি সৌদি আরবের চিত্রশিল্পী আহমেদ মাতারের সাথে একসঙ্গে ছবি আঁকতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, আমি তার কাজের গভীর প্রশংসা করি এবং আমাদের মধ্যে একটি চিত্রকলা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গতবার লন্ডনে এবং জেদ্দায় তার স্টুডিওতে দেখা করার সময় আমরা একসাথে কিছু ছবি আঁকার বিষয়ে সম্মত হয়েছিলাম।
প্রখ্যাত এই অভিনেতা রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রেড সি উৎসব আমাকে নির্মাণের জন্য যে স্বাধীনতা এবং সমর্থন দিয়েছে, তা আমি আগে কখনো পাইনি। তারা আমাকে আমার কল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে সুযোগ দিয়েছে এবং প্রক্রিয়াটি খুবই বাস্তবিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। আমি এখানে কাজ করে সত্যিই আনন্দিত।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা