২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইত্যাদি এবার সমুদ্রবন্দর মোংলায়

ইত্যাদি এবার সমুদ্রবন্দর মোংলায় -

ইত্যাদি অনুষ্ঠানটি তার নিয়মিত ধারায় বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রতœনিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গিয়ে ধারণ করা হয়। এবারের পর্বটি ধারণ করা হয়েছে বাগেরহাট জেলার পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ নগরী, যা সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এবং খানজাহানি কীর্তির জন্য বিখ্যাত। মঞ্চ নির্মিত হয়েছে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর, মোংলা বন্দরে। পশুর নদীর তীরে জাহাজ, নদী এবং বন্দরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মঞ্চ। মোংলা বন্দরে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলা, খুলনা এবং নড়াইল থেকেও। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাগেরহাটকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের লেখা একটি পরিচিতিমূলক গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। বাগেরহাটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক নৃত্যশিল্পী এ নাচটি পরিবেশন করে। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন সোহান, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজীব, অয়ন চাকলাদার, তানজিনা রুমা এবং এমেলী। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সঙ্গীত আয়োজন করেছেন মেহেদী। এবারের সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন বাগেরহাটেরই সন্তান জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাসির এবং প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী সানজিদা রিমি। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন কিশোর দাস। দর্শক পর্বের নিয়ম অনুুযায়ী, ধারণস্থল বাগেরহাটকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকদের মধ্য থেকে তিনজন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সাথে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের জনপ্রিয় লোক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী নিখিল কৃষ্ণ মজুমদার এবং তার কয়েকজন শিক্ষার্থী। মঞ্চে তারা দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সুর তোলেন, পরিবেশন করেন বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের জনপ্রিয় শিল্পীদের গাওয়া বেশ কয়েকটি শ্রোতাপ্রিয় গান। ইত্যাদি সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচারবিমুখ, জনকল্যাণে নিবেদিত মানুষদের তুলে ধরার পাশাপাশি, অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বে রয়েছে কয়েকটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন। একটিতে বাগেরহাটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র, সুন্দরবন এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ খানজাহানি কীর্তিশোভিত স্থান ও স্থাপনার ওপর প্রতিবেদন রয়েছে। ইত্যাদির টিম মোংলা থেকে নদীপথে হিরনপয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গমন করেন।
বাগেরহাটের একদল নারী, যারা ফেলনার সামগ্রী কাজে লাগিয়ে নানান উপকরণ তৈরি করেন এবং বিদেশে রফতানির উপযোগী বাড়ি তৈরি করেন, তাদের ওপর একটি প্রতিবেদনও রয়েছে। এছাড়া, বাগেরহাটের ঢাংমারী গ্রামের কিছু মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস সুন্দরবন, কিন্তু বন সুরক্ষায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় বনভূমিতে প্রবেশ করেন এবং নানা বিপদের সম্মুখীন হন। এ বিষয়ে রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বিদেশী প্রতিবেদন পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন রয়েছে, যা প্রাকৃতিক বিস্ময় হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। এছাড়া, ইত্যাদির চিঠিপত্র বিভাগে বাগেরহাটের এক ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোক্তার জীবন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয় এবং মঞ্চে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক অসঙ্গতি ও সমাজ সংস্কারের উপর তীক্ষè নাট্যাংশ পরিবেশন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement