কায়রোর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাজিমাত করছেন মেহজাবীন
- মোহাম্মদ কাওসার প্রতিনিধি, মিসর
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মিসরের কথা শুনলে আমাদের প্রথমেই মনের অজান্তেই যে বিষয়টি ভেসে আসে তা হলো- পিরামিড, প্রাচীন ফারাও রাজা ও নীলনদ। পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের এ দেশে এসে পৃথিবীর মানচিত্রে ভেসে ওঠা দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ থেকে এসেও মিসরীয়দের মন জয় করবে, এটি কল্পনাতীত। ঠিক সেই কাজটি করেছে আমাদের ছোট পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা মেহজাবিন চৌধুরী। ১৩ নভেম্বর মিসরের কায়রো শহরে বসেছে ‘কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এর ৪৫তম আসর। আর এই আসরেই বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে মেহজাবীন অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘প্রিয় মালতী’।
মিসরে তার অভিনীত যে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হচ্ছে, মিসরীয়রা যাকে ‘ডিয়ার মালতি’ হিসেবে চিনেছে অথবা বাংলায় যাকে আমরা ‘প্রিয় মালতি’ হিসেবে চিনি, সেই মালতি দেখে যে মিসরীয়রা এতটাই মুগ্ধ হবে, চাক্ষুষ না দেখলে হয়তো বা বুঝতে পারতাম না। আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাচীন উৎসবের মধ্যে অন্যতম কায়রো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সম্মানজনক এই উৎসবের ৪৫তম আসরের পর্দা উঠেছে গত ১৩ নভেম্বর। উৎসবটি চলে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। কায়রো উৎসবে ‘প্রিয় মালতী’-এর প্রদর্শনীতে দৈনিক নয়া দিগন্ত কায়রো প্রতিনিধি সাথে কথা বলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। মেহজাবীন জানান, কায়রো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অফিসিয়ালি ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমাটি সিলেক্ট হয়েছে এবং প্রিমিয়ার শোতে মিসরীয়দের যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন। শো শেষ করে এসে মেহজাবীনকে অনেকেই ‘সেভেন আউট অব টেন’ দিচ্ছেন, আবার কেউ ‘ফাইভ আউট অব টেন’ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকে বলছিলেন, ‘আপনার দেশের গল্প আর আমাদের দেশের গল্প প্রায় কাছাকাছি, এ ধরনের ঘটনা আপনার দেশে ও ঘটে, তা ভেবে আমরা খুব দুঃখ অনুভব করছি।’ উপস্থিত দর্শকদের সরাসরি রিভিউ দেয়াতেই মুগ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ছোটবেলা থেকেই অনেক ইচ্ছে ছিল যে, তিনি মিসরে আসবেন, বাবা-মাকে ট্রাভেল করতে, কিন্তু তিনি যে তার যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মিসরের কায়রোতে আসবেন, এটি কখনো তিনি কল্পনাও করতে পারেননি, এমনটিই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এটি এক ধরনের স্বপ্ন ছিল তার, বলা যেতে পারে।
এই অভিনেত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের বাস্তব এক ঘটনার সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে এবং সেটার বাস্তব উপলব্ধিটা সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা, আর তা দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, আসলে বিষয়টি দেশের জন্য এবং তার জন্য এক গর্বের বিষয়। হাসতে হাসতে অভিনেত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘আপনাদের জন্য খুশির সংবাদ হচ্ছে এই যে, প্রিয় মালতি ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অফিসিয়ালি সিলেকশন হয়েছে, তাই আমাদের টিম খুব দ্রুতই গোয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে, তাই আপনাদের দোয়া এবং শুভকামনা প্রয়োজন।’
ইতোমধ্যে সিনেমাটি মিসরের কয়েকটি সিনেমা হলে প্রিমিয়ার হচ্ছে এবং অন্যান্য সিনেমার তুলনায় এই সিনেমাটি দর্শক ভালোই টেনেছে। প্রিয় মালতির মাধ্যমে সিনেমা পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন শঙ্খ দাসগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, কায়রোতে প্রিয় মালতীর চারটি প্রদর্শনী রয়েছে। এর মধ্যে দু’টিতে থাকবেন উৎসবে আসা দর্শকরা। এছাড়া সাংবাদিক ও বিচারকদের জন্য একটি করে প্রদর্শনী হবে। প্রতিটির শুরু ও শেষে থাকবে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। উৎসবে ছবিটি লড়বে ‘গোল্ডেন পিরামিড’ পুরস্কারের জন্য। প্রিয় মালতি ছাড়াও এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৫টির মতো ছবির নাম দেখা গেছে। মেহজাবীন অভিনীত এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাসগুপ্ত। এই উৎসবেও পরিচালকসহ মেহজাবীনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। কায়রো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের লালগালিচায় ভেলভেটের উপস্থিত দর্শক এবং সাংবাদিকদের বাঙালি আনাই মুগ্ধ করেছিলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। নিজের নতুন সিনেমা প্রিয় মালতি নিয়ে এই উৎসবে হাজির হয়েছেন তিনি। তার সাথে আছেন পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত এবং দুই প্রযোজক আদনান আল রাজীব ও মো: হাবিবুর রহমান তারেক। তারা সবাই হেঁটেছেন লালগালিচায়। প্রিয় মালতির ইংরেজি নাম রাখা হয়েছে ‘হুইসপারস অব আ থার্সটি রিভার’। গল্প লেখার পাশাপাশি এটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাসগুপ্ত। তার সাথে মিলে চিত্রনাট্য লিখেছেন আবু সাইদ রানা। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সিনেমাটির কাজ শুরু হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা