প্রথমবার সৌদি আরব যাচ্ছেন জেমস, গাইবেন রিয়াদে
- সাকিবুল হাসান
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দেশের সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের কাছে জনপ্রিয় নাম নগরবাউল জেমস। তার গানের প্রতি যে আকর্ষণ, তা শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং বিশ্বের বিভিন্ন কোণে বহু শ্রোতা তার গানের ভক্ত। এই বর্ষীয়ান শিল্পী নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক কনসার্টে অংশ নেন এবং তার গান শোনার জন্য প্রতিটি কনসার্টে শ্রোতাদের আগ্রহের সীমা থাকে না।
এবার, নগরবাউল জেমসের কনসার্ট হবে কিছুটা আলাদা, কারণ তিনি প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে কনসার্ট করতে যাচ্ছেন। সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে ২২ নভেম্বর রিয়াদে একটি কনসার্টে গান পরিবেশন করবেন তিনি। এই কনসার্টটি সৌদির সংস্কৃতির বিশেষ আয়োজন ‘রিয়াদ সিজন’-এর অংশ, যেখানে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশ অংশগ্রহণ করছে।
নগরবাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর গণমাধ্যমে জানান, ‘২২ নভেম্বর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে জেমস রিয়াদে গান গাইবেন। এটি সৌদিতে আমাদের প্রথম কনসার্ট, আর এই কনসার্টে দর্শকরা বিনামূল্যে গান উপভোগ করতে পারবেন।’ ২০ নভেম্বর দলটি সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার আওতায় গত কয়েক বছরে সৌদি সমাজে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০১৮ সালে বিনোদন খাতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর, সৌদির সিনেমা হলগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং আয়োজিত হতে থাকে কনসার্ট, চলচ্চিত্র উৎসব, ফ্যাশন শো ইত্যাদি। এ ধরনের উদ্যোগের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘রিয়াদ সিজন’, যা বিশ্বব্যাপী সৌদির শীতকালীন বিনোদন উৎসব হিসেবে পরিচিত।
এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নেওয়া ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানও রয়েছে। ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিটি দেশের জন্য এক সপ্তাহ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সপ্তাহগুলোর মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, খাবার, নৃত্য ও সঙ্গীত তুলে ধরা হবে। ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ উইক’ নামে পরিচিত সময়সীমায় বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি প্রদর্শিত হবে, এবং এই সময়েই জেমস রিয়াদে তার কনসার্ট করবেন।
এদিকে, ঢাকায় মঞ্চে গত শুক্রবার এক কনসার্টে জেমস তার শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন। ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিয়ো না’ গান দিয়ে কনসার্ট শুরু করেছিলেন তিনি, এরপর একে একে তার জনপ্রিয় গানের সুরে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। ‘দিওয়ানা মাস্তানা’, ‘গুরু ঘর বানাইলা’, ‘মা’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘মীরাবাই’, ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব’, ‘পাগলা হাওয়া’—এই সব গান পরিবেশন করেন তিনি। এর পাশাপাশি গিটারেও নিজের দক্ষতা দেখিয়ে পুরো পরিবেশকে আরও সুরময় করে তোলেন তিনি।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিদেশে তুলে ধরার এই উদ্যোগটি সত্যিই বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের জন্য গর্বের ব্যাপার। সৌদি আরবে এমন একটি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচিতি আরও বাড়বে এবং প্রবাসী বাংলাদেশরীাও নিজেদের দেশের সঙ্গীত উপভোগ করতে পারবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা