তানিয়া বৃষ্টির কৃতজ্ঞতা
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
তানিয়া বৃষ্টি, বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এই প্রজন্মের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী। এই সময়ের সব গুণী নাট্য পরিচালকদের নাটকে তিনি অভিনয় করছেন। অভিনয়ে এক দশকেরও বেশি সময়ের পথচলায় এই সময়ে এসে তিনি অভিনয়ে নিজেকে এতটাই সিদ্ধহস্ত করেছেন যে, যেকোনো চরিত্রেই তিনি অনায়াসে অভিনয় করতে পারেন। হোক তা শহুরে জীবনের গল্পের কোনো চরিত্রে কিংবা গ্রামীণ পটভূমির গল্পের চ্যালেঞ্জিং কোনো চরিত্রে। নির্মাতারাও এখন নির্দ্বিধায় আস্থা রাখতে পারেন তার ওপর। ২০১২ সালে তিনি মা হেলেনা বেগম ও বোন সোনিয়া আক্তারের অনুপ্রেরণায় ‘ভিট চ্যানেল আই’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। বিচারক হিসেবে পেয়েছিলেন কানিজ আলমাস খান, আদিল হোসেন নোবেল ও তানিয়া আহমেদ। এই প্রতিযোগিতায় তিনি সেকে- রানার্স আপ হন। এরপর আখম হাসানের সঙ্গে একটি নাটকে (প্রচারিত হয়নি) অভিনয়ের পর তিনি প্রথম শরাফ আহমেদ জীবনের পরিচালনায় একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে অমিতাভ রেজা’সহ আরো বেশ কয়েকজনের নির্দেশনায় ৮/৯টি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন। এরপর আবারো নাটকে অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছিলেন না তিনি। একটা সময়ে এসে জাকিউল ইসলাম রিপনের ‘পিনিকেই ঝিনিক’ নাটকে মোশাররফ করিমের সাথে অভিনয় করেন। আর এই নাটকে দুর্দান্ত অভিনয় করেই তিনি তুমুল আলোচনায় চলে আসেন। বৃষ্টি তার অভিনয় জীবনের টার্নিয় পয়েন্ট হিসেবেই বিবেচনা করেন এই নাটকটিকে। এরপর থেকে তিনি বহু নাটকে বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে একজন জাত অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন সারা দেশজুড়ে তানিয়া বৃষ্টির রয়েছে অসংখ্য ভক্ত।
এখন বলা যায় প্রতিনিয়তই তাকে ক্যামেরার সামনেই ব্যস্ত থাকতে হয়। আজকের অবস্থানে আসার নেপথ্যে বৃষ্টি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেন, ‘শুরুতেই অসীম কৃতজ্ঞতা মহান আল্লাহর প্রতি। আমার পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞত। এরপর চ্যানেল আইয়ের প্রতি, কারণ এই প্লাটফরমে সুযোগ না পেলে আজকের আমি হয়ে উঠতে পারতাম না। বিশেষ কৃতজ্ঞতা পরিচালক জাকিউল ইসলাম রিপনের প্রতি। কৃতজ্ঞতা বিশেষত মোশাররফ করিম ভাইয়ের প্রতি, আমি মনেকরি তিনি আমার অভিভাবক, তার সাথে কাজ মানেই অনেক কিছু শেখা। কৃতজ্ঞ নিলয় আলমগীরের প্রতি, সবসময় যেকোনো সিচুয়েশনে আমার পাশে থাকার জন্য। ধন্যবাদ শামীম হাসান সরকার ও আরশ খানকেও। সিনেমাটোগ্রাফার নাঈম ফুয়াদ, বিশ^জিৎ দত্ত ও সুমন হোসেনের কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। বিশেষ কৃতজ্ঞতা পরিচালক সাগর জাহান ভাইয়ার প্রতি, শুধু আমাকে নিয়েই গল্পের চরিত্র ভাবার জন্য। কৃতজ্ঞতা নাট্যকার জুয়েল এলিন ও সাগর জাহানের প্রতি। শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি রাজধানীর সেগুনবাগিচার বেগম রহিমা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হুজুর স্যার, লিপি ম্যাডাম, সিকদার স্যার ও রাজ্জাক স্যারের কথা।’ তানিয়া বৃষ্টির নিজের ভালোলাগার নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘পিনিকেই ঝিনিক’, ‘ছোবল’, ‘চোখটা আমাকে দাও’,‘ জায়গায় খায় জায়গা ব্রেক’ ও ‘চাবিওয়ালা’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা