রুনা লায়লা ৭২ : সঙ্গীতের সোনালি অধ্যায়
- সাকিবুল হাসান
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
৭২ বছরে পা দিলেন সঙ্গীতের এক অমর নক্ষত্র রুনা লায়লা। তার কণ্ঠের মাধুর্যে মুগ্ধ হয়েছে কোটি কোটি হৃদয়, আর সঙ্গীতের আকাশে তিনি হয়ে উঠেছেন এক অমূল্য তারা। ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গীতের যাত্রা, যেখানে প্রতিটি সুরে গল্প, প্রতিটি গানে ইতিহাস। আজো তার কণ্ঠের সোনালি রেশ ছড়িয়ে পড়ে সঙ্গীতপ্রেমী মনগুলোতে, আর শ্রোতারা অপেক্ষা করে তার নতুন গানের জন্য। ৭২ বছরে সঙ্গীতের এই রানী, গড়ে তুলেছেন এক স্বর্ণালি ইতিহাস- যা সময়ের পরিক্রমায় কখনো ম্লান হবে না।
রুনা লায়লা, বাংলাদেশের সিলেটে জন্মগ্রহণ করলেও তার সঙ্গীতজীবন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে। ষাটের দশক থেকে শুরু করে আজ অবধি তিনি ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন নানা ভাষায়, প্রতিটি গান তার কণ্ঠের অনন্য সুরের মাধ্যমে সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরকালীন স্থান করে নিয়েছে। বাংলা গানের পাশাপাশি তিনি গেয়েছেন উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, আরবি ও ইংরেজি ভাষাতেও। সঙ্গীতের প্রতি তার নিবেদন, শ্রম ও ভালোবাসা তাকে এনে দিয়েছে অগণিত পুরস্কার ও সম্মান।
শুধু গায়কী নয়, সুরকার হিসেবেও রুনা লায়লা তার প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার মাধ্যমে সুরকার হিসেবে অভিষেক ঘটিয়ে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। তার সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের গুণী শিল্পীরা যেমন আঁখি আলমগীর, তানি লায়লা, লুইপা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আশা ভোসলে, হরিহরণ, আদনান সামী, রাহাত ফতেহ আলী খানদের মতো কিংবদন্তিরা।
আজকের এই বিশেষ দিনে রুনা লায়লা তার ৭২তম জন্মদিনটি পরিবারের সদস্যদের সাথে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, দেশের সঙ্গীতপ্রেমীরা আজো তাকে স্মরণ করছে। চ্যানেল আইয়ের ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার জীবন ও সঙ্গীতকর্ম নিয়ে আলোচনা হবে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীরা। এছাড়া, এনিগমা টিভিতে রাত ৮টায় ‘আজ গানের দিন’ অনুষ্ঠানেও শ্রদ্ধা জানানো হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে।
রুনা লায়লা জানিয়েছেন, বয়স তো কেবল সংখ্যা, তার মন এখনো সঙ্গীতের প্রতি আগের মতোই নিবেদিত। ‘গান নিয়েই আমার সারা জীবনের ভাবনা, নতুন কিছু গান নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে,’ বলেন তিনি। সম্প্রতি সাদেক আলীর সুরে বেতারে দু’টি গান গেয়েছেন এবং আরো অনেক নতুন গান তার পরিকল্পনাতে রয়েছে।
রুনা লায়লা শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার গান প্রতিটি প্রজন্মের মাঝে সেতু বেঁধেছে, সময়ের ব্যবধান ভুলিয়ে দিয়েছে। তার কণ্ঠে প্রতিটি সুর যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে, আর তার গানগুলো আজো সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে এক অমূল্য রতœ।
আজকের এই বিশেষ দিনে, সঙ্গীতপ্রেমীরা একত্রিত হয়ে রুনা লায়লাকে জানাচ্ছে তাদের অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, আর দোয়া করছে যেন তিনি আরো বহু বছর সঙ্গীতের আকাশে এই সোনালি অধ্যায় লিখে যান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা