২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘আমরা শিল্পে আশ্রয় খুঁজি, বোমা ও যুদ্ধের মধ্যে নয়’

‘আমরা শিল্পে আশ্রয় খুঁজি, বোমা ও যুদ্ধের মধ্যে নয়’ -

ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনার মাঝেও, ইসরাইলি পরিচালক এরান রিকলিস তার নতুন সিনেমা ‘রিডিং ললিতা ইন তেহরান’ নিয়ে রোম চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন। আজার নাফিসির বিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক বই ‘রিডিং ললিতা ইন তেহরান’ অবলম্বনে এই সিনেমা নির্মিত। যা তেহরানে ইসলামী বিপ্লব পরবর্তী সময়ে পশ্চিমা সাহিত্যের বই পড়ার জন্য আটজন ইরানি ছাত্রীর সংগ্রামকে তুলে ধরেছে। সিনেমাটি ইরানি অভিনেত্রীদের অভিনয়ে সমৃদ্ধ এবং এটি এক নতুন বার্তা দিয়েছে, যেখানে শিল্প, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে যুদ্ধের বিপরীতে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
রোম চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি প্রদর্শিত হওয়ার সময়, রিকলিস এবং ছবির প্রধান অভিনেত্রীদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন, এবং সেখানে ছবিটি দু’টি পুরস্কার, অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ও স্পেশাল জুরি প্রাইজ জিতেছে। ছবির অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী, গোলশিফতেহ ফারাহানি, সিনেমার মূল থিম সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘আমরা শিল্পে আশ্রয় খুঁজি, বোমা ও যুদ্ধের মধ্যে নয়।’ তাঁর এই বক্তব্যটি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রতি এক গভীর মন্তব্য, যেখানে শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতারা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে উঠে একত্রিত হয়ে কাজ করেন।
অন্যদিকে, প্রখ্যাত ইরানি অভিনেত্রী জার আমির ইব্রাহিমি, যিনি হোলি স্পাইডার ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০২২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান, বলেন যে ইসরাইলি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি তার কাছে নতুন নয়। গত বছর তিনি তাতামি নামক চলচ্চিত্রে ইসরাইলি পরিচালক গাই নাতিভের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, যা ইরানি এবং ইসরাইলি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রথম যৌথ প্রকল্প ছিল।
এছাড়া, এই ছবির মূল লেখক আজার নাফিসি, যিনি তার বইতে তেহরানের বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে নারীদের সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ এবং সংগ্রামের কথা লিখেছিলেন, রোম চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রথমবার দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, তার বই এবং ছবিটি ইরান এবং ইসরাইল সরকারের যুদ্ধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘শত্রুতা চলবে না।’


আরো সংবাদ



premium cement