১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ালেন পুতুল-রেজা

গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ালেন পুতুল-রেজা -

শনিবার সন্ধ্যাটার জন্য যেন গেল এক সপ্তাহ ধরে সঙ্গীত পিপাসুরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। কারণ সেদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রেড সেন্টারে অবিস্থত ‘দ্য অ্যাটেনসন নেটওয়ার্ক’ প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী পুতুল ও তার স্বামী গায়ক, সুরকার সঙ্গীত পরিচালক রেজা’র একসঙ্গে একই মঞ্চে প্রথমবার সঙ্গীত পরিবেশন করার কথা। যথারীতি যখন ৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। তখন একে একে অনেকেই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় যখন একেবারেই পরিপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থল তখনই পুতুল রেজাকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠে আসেন। টানা যায় দুই ঘণ্টা তারা দু’জন শুধু হারমোনিয়াম আর গীটারের সুরের মূর্ছনায় পুতুলের কণ্ঠে প্রতিটি গানই যেন শ্রোতাদের মুগ্ধ করছিল। গানে গানে শ্রোতাদের প্রাণে প্রাণে পুতুল রেজা মুগ্ধতা ছড়াতে শুরু করেন। একের পর একে ‘ওয়ান মোর ওয়ান মোর’ বলে আরো গানের অনুরোধ আসতে থাকে। পুতুল রেজা দু’জনই চেষ্টা করেন শ্রোতা দর্শকের অনুরোধ রাখতে। একে একে অনুষ্ঠানে পুতুল পরিবেশন করেন ‘বন্ধুরে’, ‘সবুজ মন’, ‘তুমি আর নেই সে তুমি’, ‘ফুলে ফুলে’, ‘আমার হার কালা’, ‘মনে পড়ে রুবি রায়’,‘ বিষাক্ত সুর’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘পুরানো সেই দিনের কথা’, ‘এখন তো সময় ভালোবাসার’, ‘সুরেরও বাণী’, ‘একলা চলোরে’, ‘মায়ের ছোট্ট পুতুল’, ‘তোমার ঘরে বাস করে’সহ আরো বেশ কয়েকটি গান। তবে পুতুল জানান আরো ৮/১০টি গানের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন তারা। যদি বিশেষ কোনো কারণে অনুষ্ঠান আরো দীর্ঘ করতে হতো তাহলে তারা তা চালিয়ে যেতে পারতেন। অবশ্য অনুষ্ঠানের মাঝখানে রেজা দু’টি ইংরেজি সঙ্গীতও পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে এক সময় উপস্থিত হন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইউসুফ আহমেদ খান। পুতুল রেজা তাকে মঞ্চে ডেকে নেন। পুতুলেরই অনুরোধে মাজেদ চৌধুরীর লেখা ও ইউসুফের সুর সঙ্গীতে একটি নতুন গান যা প্রকাশের জন্য প্রস্তুত আছে, তা পরিবেশন করেন পুতুল ইউসুফ। রেজা বলেন, সবার উপস্থিতিতে আমরা মুগ্ধ হয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement