০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

আরএসআইএফএফে সৌদি চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল উপস্থিতি

আরএসআইএফএফে সৌদি চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল উপস্থিতি -

রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (আরএসআইএফএফ) ২০২৪-এর ‘আরব স্পেকটাকুলার সেকশন’-এ পাঁচটি নতুন চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে তিনটি সৌদি সিনেমা রয়েছে। এই সিনেমাগুলো সৌদি আরবের সমাজিক পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জ এবং মানবিক গল্পের গভীরে প্রবেশ করেছে, যা আন্তর্জাতিক দর্শকদের সামনে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবে। সৌদি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বৈশ্বিক মঞ্চে পরিচিতি পাওয়ার এই সুযোগ আরব চলচ্চিত্রের শক্তি এবং বৈচিত্র্যকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে।
এবারের আরব স্পেকটাকুলার সেকশনে প্রদর্শিত ছবিগুলি শুধু যে আরব বিশ্বের প্রতিচ্ছবি, তা নয়, তারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পরিসরে নিজেদের জায়গা করে নিতে প্রতিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন আরএসআইএফএফের আরব প্রোগ্রাম ও ফিল্ম ক্লাসিকসের পরিচালক আঁতোয়ান খলিফ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের গল্প এবং নির্মাণশৈলীর গুণমান আন্তর্জাতিক সিনেমার সঙ্গে সমানতালে দাঁড়ানোর যোগ্য। তাই আমরা আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সমর্থন করতে এবং তাদের কাজ আন্তর্জাতিক দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের সুযোগ দিতে কাজ করছি।’
এই সেকশনে সৌদি চলচ্চিত্রগুলোর উপস্থিতি আরব চলচ্চিত্র শিল্পের এক নতুন অধ্যায় শুরু করছে, যেখানে সমাজের নানা পরিবর্তন, সংস্কৃতির মিশ্রণ এবং মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বগুলো এক অনন্য দৃষ্টিকোণে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উৎসবে স্থান পাওয়া সৌদি চলচ্চিত্রগুলোর একটির নাম ‘মাই ড্রাইভার অ্যান্ড আই’। এটি এটি সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলের ডেবিউ ছবি। ১৯৮০-৯০ দশকের জেদ্দায় সেট। এই সিনেমা এক বিদ্রোহী সৌদি মেয়ে এবং তার সুদানি ড্রাইভারের বন্ধুত্বের গল্প, যা তাদের সম্পর্ককে পরীক্ষা করে যখন মেয়ে গাড়ি চালানো শুরু করে। তালিকায় থাকা দ্বিতীয় সিনেমাটির নাম ‘হোবাল’। সৌদি পরিচালক আবদুল আজিজ আলশ্লাইহির এই সিনেমা একটি বেদুইন পরিবারের গল্প, যেখানে পরিবারের বাবা তাদেরকে নব্বইয়ের দশকে একটি সংক্রামক রোগের ভয়ে মরুভূমিতে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করতে বাধ্য করে। তৃতীয় সিনেমাটির নাম ‘লাইল নাহার’। এটি পরিচালনা করেছেন আবদুল আজিজ আলমুজাইনি (যিনি ‘মাসামির’ নামে জনপ্রিয় সৌদি টিভি সিরিজ এবং সিনেমা নির্মাণ করেছেন) এর এই সিনেমা একটি অপেরা সঙ্গীতশিল্পীর গল্প, যিনি বর্ণবাদী অভিযোগের পর কালো এক নারীকে বিয়ে করার ঘোষণা দিয়ে সমাজে তোলপাড় সৃষ্টি করেন, কিন্তু পরে তার নতুন বিয়ের সঙ্গী হিসেবে একটি অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক তৈরি হয়।
‘আরব স্পেকটাকুলার’ বিভাগে সৌদি চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে দু’টি সিনেমা রয়েছে। এর একটির নাম ‘ফ্রন্ট রও’। পরিচালনা করেছেন আলজেরীয় পরিচালক মেরজাক আলুও আশের। সমুদ্রসৈকতে সেরা জায়গার জন্য দুই মাতৃহীন মহিলার মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। অন্য সিনেমাটির নাম ‘আব্দ অ্যান্ড সানিয়া’। মিসরের পরিচালক ওমর বাকরি নির্মিত একটি সাইলেন্ট, ব্ল্যাক-অ্যান্ড-হোইট চলচ্চিত্র, যা মিসরীয় এক দম্পতির গল্প নিয়ে, যারা নিউইয়র্ক সিটিতে সন্তান নেয়ার জন্য চিকিৎসা খুঁজতে গিয়ে আধুনিক আমেরিকান জীবন সম্পর্কে কেনো ধারণা ছাড়াই সেখানে পৌঁছে।
এই চলচ্চিত্রগুলো আরব অঞ্চলের সিনেমার বৈচিত্র্য এবং গুণগত মানকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার এক বড় সুযোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
তদন্ত প্রতিবেদনসহ আমু-কামরুলকে ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেশের ৬৯ কারাগারের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ : কারা মহাপরিদর্শক আমরা হিন্দু-মুসলমান একসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেবো : রিজভী আজমির শরিফ : খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহের ইতিহাস জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা ‘শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে’ পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর দেনার দায়ে শক্ত অবস্থান হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে : প্রধান উপদেষ্টা নতুন মামলায় আনিসুল-ইনু-রাশেদ-পলকসহ গ্রেফতার ৯ যুবদল নেতা শামীম হত্যা : আ.লীগের রোকেয়া-মোস্তফা রিমান্ডে

সকল