২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মাইকেল জ্যাকসনের প্লাস্টিক সার্জারির পেছনের সত্যতা

মাইকেল জ্যাকসনের প্লাস্টিক সার্জারির পেছনের সত্যতা -

বছরের পর বছর ধরে মাইকেল জ্যাকসনের চেহারায় নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ করেছেন ভক্তরা। কিং অব পপ হিসেবে বিশ্বখ্যাত এই গায়ক, তার পরিবর্তিত চেহারা সম্পর্কে কখনোই স্পষ্টভাবে কিছু বললেননি, তবে প্রকাশ্যে দু’টি নাকের সার্জারি করার কথা স্বীকার করেছিলেন।
এছাড়াও, জ্যাকসন তার ত্বকের সাদা হয়ে যাওয়ার জন্য ভিটিলিগোকে (একটি ত্বকের রোগ) দায়ী করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, তার ত্বক উজ্জ্বল হওয়ার প্রক্রিয়াটি এক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা চিকিৎসকের মতে একটি অটোইমিউন রোগ। যদিও ভক্তরা বারবার তার চেহারার পরিবর্তন নিয়ে নানা রকম আলোচনা করেছেন, মাইকেল তার জীবনে ঘটে যাওয়া এসব পরিবর্তন নিয়ে কখনোই কোনো বিশদ ব্যাখ্যা দেননি। মাইকেল জ্যাকসনের এই পরিবর্তনগুলো শুধু তার ফিজিক্যাল উপস্থিতিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তার সঙ্গীত ও পাবলিক ইমেজেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। লস অ্যাঞ্জেলেসের একজন সার্জন, ড. ওয়ালেস গুডস্টেইন, যিনি জ্যাকসনের সাথে কাজ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে এই তারকা একেবারে নিয়মিত রোগী ছিলেন।
ড. গুডস্টেইন জানান, ‘তার বেশ কয়েকটি সার্জারি হয়েছিল। প্রতি দুই মাসে একবার করে সে আমার কাছে আসত। দুই বছর সময়কালে মোট ১০-১২টি সার্জারি হয়েছিল।’ তার মতে, জ্যাকসন একাধিক নাকের সার্জারি, চিনে ক্লেফট (গহ্বর তৈরি) এবং গালের ইমপ্ল্যান্ট করিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি চোখের পাতার সার্জারিও করিয়েছিলেন।
এমনকি, জ্যাকসন তার এই প্লাস্টিক সার্জারিগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চাননি। একটি সূত্র জানায়, ‘এসব সার্জারি সাধারণত সন্ধ্যার সময় করা হতো, যখন অন্য কোনো স্টাফ অফিসে উপস্থিত থাকত না, যাতে কেউ তাকে আসতে বা যেতে না দেখে।’ দুঃখজনকভাবে, বারবার নাকের সার্জারি করার ফলে তার নাক অত্যন্ত ছোট হয়ে গিয়েছিল, যেন সেখানে কিছুই আর অবশিষ্ট ছিল না।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছিল, জ্যাকসন একবার ত্বকের বিশেষজ্ঞ ড. আর্নল্ড ক্লাইনের পরামর্শ পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। ড. ক্লাইন ল্যারি কিংয়ের একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘আমি তার নাক পুনর্নির্মাণ করেছিলাম... হায়ালুরোনিক অ্যাসিড দিয়ে। এটি কঠিন একটি প্রক্রিয়া, কারণ বেশি না দেয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকতে হয়।’ যদিও জ্যাকসন সেই ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, তবে ক্লাইন জানালেন, তার নাকের কারটিলেজ পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল এবং তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল।’
ড. ক্লাইন আরো বলেন, জ্যাকসন তার ত্বকের ভিটিলিগো সমস্যার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। এটি একটি রোগ যা ত্বকের রঙের কোষ ধ্বংস করে, ফলে শরীরের কিছু অংশ সাদা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞ জানান, এই রোগ ছিল মারাত্মক, বিশেষ করে তার মুখ এবং হাতের অংশে। চিকিৎসার জন্য একসময় ওষুধ এবং আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করা হতো, কিন্তু এর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় ছিল ত্বকে লাইটেনিং ক্রিম ব্যবহার করা, যা তার ত্বকের রঙ সমান করে দেয়। এর ফলে তার ত্বক একেবারে উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছিল। তবে তার চিকিৎসকের মতে, সঠিক যতœ এবং পদ্ধতির মাধ্যমে তিনি তা পরিচালনা করতে পেরেছিলেন। জ্যাকসনের ত্বকের চিকিৎসা শুধু তার শারীরিক চেহারার পরিবর্তনই ঘটায়নি; বরং তার ক্যারিয়ার এবং পাবলিক উপস্থিতিতেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
রংপুরে ৩ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন সকলের সামাজিক দায়িত্ব : উপদেষ্টা ৪টি সংস্কার করলেই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে পারবে : মোস্তাফিজার রহমান গৌরনদীর সাবেক মেয়রকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় পাকিস্তান ডেঙ্গুতে আরো ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২১৪ বক্তৃতায় খালেদা জিয়াকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা আ’লীগের সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর কারাগারে কাঁঠালিয়ায় শাহজাহান ওমরের গ্রেফতারে বিএনপির আনন্দ মিছিল ইউক্রেন রাশিয়া ইউকে স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে

সকল