০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

আবুল হায়াতের আত্মজীবনী ‘রবি পথ’র মোড়ক উন্মোচন

আবুল হায়াতের আত্মজীবনী ‘রবি পথ’র মোড়ক উন্মোচন -

বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার এবং নির্মাতা আবুল হায়াতের আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘রবি পথ’ প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছরের লেখালেখির পর গতকাল শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল অভিনয়শিল্পী সংঘ। সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম জানান, এই অনুষ্ঠানে আবুল হায়াতের জীবনের বিভিন্ন অজানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বই থেকে কিছু অংশ পাঠ করেছেন এবং অভিনেতার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেছেন। নাসিম বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয় যে, একজন আবুল হায়াত প্রায় ৮০ বছর বয়সেও শিল্পের নানা মাধ্যমে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। তার জীবন কাহিনী আমাদের সব শিল্পীর জন্য শিক্ষণীয়।’ আবুল হায়াত ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন, ১৯৬৯ সাল থেকে নাটকে অভিনয় শুরু করেন।

তার অভিনয়ের দীর্ঘ সফরে তিনি ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘জয়যাত্রা’ এবং ‘গহিনে শব্দ’সহ অসংখ্য নাটক এবং চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। ২০০৭ সালে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ‘রবি পথ’ বইটি লেখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আবুল হায়াত বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে লিখেছি, তবে লেখার সময় একেবারে নির্ভার হতে পারিনি। মানুষ কিভাবে বইটি নেবে, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। তবে যা মনে এসেছে, তা লিখেছি।’ তিনি জানালেন, লেখালেখির এই যাত্রায় কখনো এক পাতা লিখেছেন, আবার কখনো একসাথে ১০ পাতা। ‘আলসেমি এবং মাঝে মধ্যে লেখার প্রতি আগ্রহের অভাব- এসব কারণেই এত সময় লেগেছে,’ যোগ করেন তিনি। আবুল হায়াতের আত্মজীবনী লেখার ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জীবনে অনেক ঘটনা আছে যা গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা এসব ঘটনা জানে না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, লিখে ফেলি।’ তার মতে, অভিজ্ঞ শিল্পীদের জন্য আত্মজীবনী লেখা উচিত, কারণ এর মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। আবুল হায়াতের কর্মমুখর জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট। সারা জীবন খুব কম চেয়েছি কিন্তু পেয়েছি তার চেয়ে বেশি।’ তবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দর্শকের ভালোবাসা সব কিছুর থেকে বড়।

 


আরো সংবাদ



premium cement