এখন সবাই খোঁজে ভাইরাল : মৌসুমী হামিদ
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। টিভিসি থেকে শুরু করে টিভি নাটক, চলচ্চিত্র ও ওটিটি- সব মাধ্যমেই অভিনয় করে আসছেন তিনি। একের পর এক ব্যতিক্রমধর্মী চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘ এক যুগের ক্যারিয়ারে কাজের সংখ্যা অল্প হলেও বহু রূপে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন এ শিল্পী।
স্পষ্টভাষী হিসেবে কাছের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত তিনি। সম্প্রতি নিজের ব্যস্ততার পাশাপাশি অভিনেত্রী অকপটে বললেন সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা অসঙ্গতি নিয়ে।
গতকাল প্রকাশিত হয়েছে মৌসুমী হামিদ অভিনীত নতুন গানচিত্র ‘অল্প একটু জীবনের গান’। উদয়ন রাজীবের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন অটমনাল মুন। গেয়েছেন তাসনোভা তাবাসসুম অতসী। ২০১৮ সালে প্রথমবার গানচিত্রের মডেল হয়েছিলেন মৌসুমী। আসিফ আকবরের ‘আগুন পানি’-এর ছয় বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো গানে দেখা গেল তাকে।
মৌসুমী বলেন, ‘খুব মিষ্টি একটি গান। শোনার পর ভালো লেগেছিল। আরো ভালো লেগেছিল তাদের ভিডিও নির্মাণের কনসেপ্ট। তা ছাড়া অতসীর কণ্ঠটাও বেশ মায়াবি। সে জন্যই গানটিতে মডেল হয়েছি।
মৌসুমী অভিনীত পরপর দু’টি ছবি চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছিল- ‘নয়া মানুষ’ ও ‘যাপিত জীবন’। অজ্ঞাত কারণে দু’টি ছবিই আটকে আছে বোর্ডে। এ নিয়ে ভীষণ অভিমান মৌসুমীর। ‘নয়া মানুষ’ দেখার পর বোর্ডের সদস্য খিজির হায়াত খান ও কাজী নওশাবা আহমেদ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মৌসুমীকে। ছবির প্রশংসাও করেছিলেন। মৌসুমী মনে করেছিলেন দ্রুতই নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতির হাতে ছাড়পত্র আসবে। ছবি মুক্তিও পাবে এ বছর। অথচ সেটার কোনো অগ্রগতি নেই! এ নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী। বোর্ডে ছবিটি আটকে যাওয়ার কারণ কী? ‘বোর্ড সদস্যরা বিনা কর্তনেই ছবিটি ছাড়পত্র দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমলারা নাকি বাদ সেধেছেন। তাদের মতে, ছবিটি হিন্দু-মুসলিম ইমোশন নিয়ে তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে মুক্তি পেলে দেশে সমস্যা হতে পারে। এখন আমার কথা হলো, ফ্যাসিস্টদের সাথে তাহলে তফাত রইল কী? তখনো আমরা কথা বলতে পারতাম না, নিজেদের শিল্প প্রদর্শন করতে পারতাম না, নির্মাতাদের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। এখনো তো তাই মনে হচ্ছে!’ বললেন মৌসুমী।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব পরিচালিত ‘যাপিত জীবন’ও নানা ইস্যুতে আটকে দিয়েছে সার্টিফিকেশন বোর্ড। মৌসুমী বলেন, ‘এই ছবি তো কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। মানুষ চাইলেই বইটি পড়তে পারছে, তাহলে ছবি তৈরি হলে দেখতে সমস্যা কোথায়? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে! ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সবার আগে শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে হয়। আমাদের দেশে কি তাই হচ্ছে?’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা