বুসানে ইতিহাস গড়া কে এই রিমা দাস
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
‘দৈনন্দিন জীবনের সরল কাব্যিক অভিব্যক্তি’-রিমা দাস পরিচালিত ‘ভিলেজ রকস্টারস টু’ নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জিসোক বিভাগের বিচারকরা। উৎসবে জিসোক বিভাগের প্রথম পুরস্কার জিতেছে ছবিটি।
রিমা দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতের আসাম রাজ্যে। তিনি একজন স্বশিক্ষিত চলচ্চিত্র নির্মাতা। পরিচালনার পাশাপাশি নিজের ছবির গল্প লেখা, চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা একা হাতেই করেন ৪৭ বছর বয়সী এই নারী। ‘ভিলেজ রকস্টারস টু’-এর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি।
বুসানে এবার জিসোক বিভাগে বিচারক ছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেমা বিভাগের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান জেন, শ্রীলঙ্কান পরিচালক প্রসন্ন ভিথানাগে ও দক্ষিণ কোরিয়ান পরিচালক শিন সুয়োন। ‘ভিলেজ রকস্টারস টু’ প্রসঙ্গে তারা আরো বলেছেন, ‘একটি অল্পবয়সী মেয়ের সংগ্রাম ও দৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃতি আর মানবজাতির মধ্যে সাদৃশ্য দেখিয়েছে ছবিটি।’ ‘ভিলেজ রকস্টারস টু’-এর গল্প কিশোরী ধুনুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। রকতারকা হওয়ার স্বপ্নে একদল ছেলের সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আগের গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, নতুন কিস্তির শুরুটা সেখান থেকে। আসামের ছোট্ট অজোপাড়াগাঁয়ে থাকে ধুনু। তার মা শয্যাশায়ী। কঠোর পরিশ্রমের কারণে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। ধুনুর বড় ভাই একটি মোটরসাইকেলের জন্য ক্রমাগত মাকে পীড়া দিতে থাকে। কৈশোরের শেষপ্রান্তে চলে এলেও ধুনু এখনো গাছে চড়ে, সাঁতার কাটে এবং সবচেয়ে বড় কথা, নিজের রক ব্যান্ডে একজন গিটারিস্ট হিসেবে হেসেখেলে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখে। কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। নিয়তি বলেও একটা বিষয় আছে। জীবনের অম্লমধুর সময়ের মুখোমুখি হওয়ার সাথে ধুনু এককালের সুখী শৈশবকে পেছনে ফেলে আসার দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ায়। ধুনু চরিত্রে আবারো অভিনয় করেছেন ভনিতা দাস। তার মায়ের ভূমিকায় ফিরেছেন বাসন্তি দাস। আর বড় ভাইয়ের চরিত্রে মানবেন্দ্র দাসকে ফের দেখা গেছে। বুসানের জিসোক বিভাগে পুরস্কার জয়ী তৃতীয় ভারতীয় রিমা দাস। এর আগে অপর্ণা সেন (দ্য রেপিস্ট, ২০২১) ও মেঘালয় রাজ্যের নির্মাতা প্রদীপ কুরবাহ (মার্কেট, ২০১৯) এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রয়াত প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কিম জিসোক স্মরণে দেয়া হয় জিসোক পুরস্কার। কমপক্ষে তিনটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করা এশিয়ার প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের নতুন কাজ জায়গা পেয়ে থাকে এই বিভাগে। এশিয়ার মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কারটি জিতে উচ্ছ্বসিত রিমা দাস বলেন, ‘এশিয়ান সিনেমার উন্নয়নে নিবেদিত একজনের সম্মানে প্রদান করা পুরস্কার পাওয়া সত্যিই সম্মানের।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের রাজ্যে সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়ায় বিচারকদের ধন্যবাদ। আমাদের জায়গা করে দেয়ায় বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। আমি প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেন, আমাকে এগিয়ে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন ও গল্প বলার জাদুতে বিশ্বাস রাখেন। গত চার বছর ধৈর্য ধরে রাখায় ভনিতা দাসসহ সব অভিনয়শিল্পী, পুরো ইউনিট, আমার পরিবার ও সহ-প্রযোজক ফ্রান বোর্গিয়াকে বিশেষ ধন্যবাদ।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা