‘সাবা’ নিয়ে টরন্টো থেকে বুসানে মেহজাবীন
- সাকিবুল হাসান
- ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর এবার বিশ্বের আরেকটি বড় উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘সাবা’। বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উইন্ডো টু এশিয়ান ফিল্মস বিভাগে ছবিটি প্রদর্শিত হবে। মেহজাবীন বলেন, বুসানে যাচ্ছে সাবা। এটি পুরো টিমের জন্য বড় একটা পাওয়া। প্রথম চলচ্চিত্র টরন্টোর পর বুসানে যাচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রেও বেশ অনুপ্রাণিত করেছে। ফিল্ম কেন করছি না বা কবে করব, এ ধরনের প্রশ্ন কয়েক বছর ধরে চলছিল। অবশেষে একটা ফিল্ম করলাম এবং সেটা দেশে মুক্তির আগে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে আমিও একটা ফিল্মের মাধ্যমে আমি ও আমার টিমসহ সবাই উপস্থাপন করতে পারছি, বিভিন্ন অঙ্গনে সেটি বাড়তি প্রাপ্তি বলব। কারণ এমনটি হবে আমরা কখনো ভাবিনি। এ রকম কোনো উদ্দেশ্য নিয়েও ফিল্ম বানানো হয়নি। কিন্তু এটি যে আন্তর্জাতিকভাবে সবাই কানেক্ট করতে পারছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে, সেটি অবশ্যই বাড়তি পাওয়া।
‘সাবা’ মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত প্রথম সিনেমা। মাকসুদ হোসাইন পরিচালিত এই সিনেমাটি বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উইন্ডো টু এশিয়ান ফিল্মস বিভাগে ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে। অন্য দিকে কিছু দিন আগে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে মেহজাবীন অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘ফরগেট মি নট’। ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের চতুর্থ ওয়েব ফিল্ম এটি। সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েব ফিল্মটি। অভিনয় অঙ্গনে ১৪ বছরের পদচারণা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি এখন এক অপরাজিতার নাম। চরিত্রের প্রয়োজনে মুহূর্তে ফুটিয়ে তোলেন হাসি-কান্না-অভিমান। এরই মধ্যে নিজের সু-অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন অগণিত দর্শকহৃদয়। কিন্তু জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে স্রোতের জোয়ারে গা ভাসাননি তিনি। ১৪ বছর পর মেহজাবীন এবার বড় পর্দার নায়িকা। অভিষেক হচ্ছে চলচ্চিত্রে। তবে হলে মুক্তির আগেই প্রথম সিনেমা থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ সাফল্য পাচ্ছেন।
জীবনের সেরা অভিজ্ঞতার একটি। সিনেমাটি দেখে সবাই মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। সেই মুগ্ধতার ছাপ আবার সবার চোখে-মুখেও ফুটে উঠেছিল। এই দৃশ্য মেহজাবীন নিজে উপস্থিত থেকে দেখেছেন, উপলব্ধি করেছেন। ৪৯তম টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (টিফ) ডিসকভারি বিভাগে নির্বাচিত বাংলাদেশের ছবি ‘সাবা’। যে ছবিটির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে মেহজাবীনের। ওই আয়োজনে সিনেমাটি প্রদর্শনের পর এমন দৃশ্যের কথাই জানান সাবার পরিচালক মাকসুদ হোসাইন। তার ভাষ্য, সেখানে মানুষকে আমাদের সিনেমা এতটা মুগ্ধ করবে, এটি অপ্রত্যাশিত ছিল। সিনেমা শেষ হওয়ার পর দেখি সবাই চুপ। গল্পের আবেগের সাথে সবাই নিজেদের একাত্ম করতে পেরেছেন। পাশে দেখি মেহজাবীন কাঁদছেন। প্রথম ছবিতেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন প্রতিক্রিয়ায় আবেগি করে তুলেছিল মেহজাবীনকে। সারা বিশ্ব থেকে দর্শক, সাংবাদিক, সমালোচকসহ সিনেমাবোদ্ধারা ‘সাবা’র নানা আঙ্গিক নিয়ে কথা বলেছেন, এটি অভিনেত্রীর কাছে সত্যিই অভিভূত করেছে। মেহজাবীন বলেন, ‘সিনেমাটির জন্য অনেক রিহার্সাল করেছি। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এটি একই সাথে আমার পরিচালকের শাশুড়ির কথা, চিত্রনাট্যকারের মায়ের গল্প; যে কারণে অনেক গভীরভাবে চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করতে পেরেছি। সেই ছবির এমন সাফল্য আমাদের পুরো টিমকেই অন্যরকম এক আনন্দ দিচ্ছে।
দেশে সাবার মুক্তি : পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক মায়ের প্রতি মেয়ের যতœশীল এই চরিত্রটি ছিল মেহজাবীনের কাছে আবেগের নাম। অভিনয়ের সময়েও যেমন তিনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন, তেমন সিনেমাটি দেখেও অনেক দর্শকের সাথে কেঁদেছেন। যে কারণে তার চরিত্রকে অনেক সাহসী হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেত্রী। ছবিটি দেশের দর্শকদের সামনে কবে আসবে, জানতে চাইলে নির্মাতা মাকসুদ আগামী বছরের শুরুর দিকে ছবিটি দেশে মুক্তি পাবে। এর আগে ছবিটি নিয়ে আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ফরগেট মি নট : গত ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি চরকিতে মুক্তি পায় মেহজাবীন ফিল্ম ‘ফরগেট মি নট’। প্ল্যাটফর্মটির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের চতুর্থ ওয়েব ফিল্ম ‘ফরগেট মি নট’। নাম দেখে আন্দাজ করা যায়, সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েব ফিল্মটি। ওয়েব ফিল্মের নির্মাতা রবিউল আলম রবি। এর আগে চরকিতে তার নির্মিত ‘ঊনলৌকিক’ ও ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ মুক্তি পেয়েছে। দু’টি কনটেন্টই দেশ-বিদেশের সমালোচকদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। এতে মেহজাবীন চৌধুরীর সাথে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, বিজরী বরকতউল্লাহ, ইরফান সাজ্জাদসহ অনেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা