‘মব জাস্টিস’ নিয়ে তারকাদের প্রশ্ন
- আলমগীর কবির
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ফজলুল হক মুসলিম হলের কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অন্য দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষার্থীর হামলায় নিহত হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লা। দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো হামলার ঘটনা ঘটেছে। ‘মব জাস্টিস’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে বিচারের বিপক্ষে কথা বলেছেন তারকারা। এমন অমানবিক ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিল, সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার। হাতে অস্ত্র আছে অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মারো, মেরে ফেলো। ফল কী হয়েছিল, আমরা জানি।... আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতাপ্রাপ্তির সাথে সাথে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটি আমরা উপলব্ধি করব। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। এক শ’ জন মববাজি করতে আসলে দুজন হলেও রুখে দাঁড়াবে। ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এ রকম চারজন ছিল না রুখে দাঁড়ানোর? এটি লজ্জার, বেদনার। সবাই দায়িত্ব নিই চলেন। মববাজি বন্ধ করেন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘এই যে তোফাজ্জল নামের এক মানসিক অপ্রকৃতস্থ যুবককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র পিটিয়ে মেরে ফেলল, আমি ভাবি, তোফাজ্জলের মা সেটি দেখতে পেলে কী করতেন? আবরার ফাহাদের মায়ের কথাও ভাবি। আবরারকে যখন স্টাম্প দিয়ে পেটানো হচ্ছিল, তখন তার মা পাশে থাকলে কী কষ্টটা পেতেন! বিশ্বজিতের মায়ের কথা ভাবি, ছেলেকে কোপানোর সময় সামনে থাকলে কী করতেন তিনি ছেলেকে বাঁচাতে?...অন্ধকার লাগে সব। আমি আমার মায়ের কথা ভাবি। আমাকেও যদি কেউ এভাবে দলবেঁধে মেরে ফেলে, তাহলে আমার মায়ের কেমন লাগবে? আপনারাও ভাবেন কি?’
ফেসবুক পোস্টে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘গণপিটুনিকে কেন নরমালাইজ করা হচ্ছে?’
অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা লিখেছেন, ‘ভাত! ভিডিওটি দেখতে পারলাম না। সম্ভব না। অজান্তেই ঠিকরে পানি পড়ছে চোখ বেয়ে। আমরা কি মানুষ? আমি বিচার চাই। কিন্তু আমরা এতই অমানুষ, জানি না, বিচার আছে কি নেই।’
কাজী নওশাবা আহমেদ লিখেছেন, ‘সঠিক বিচার না হলে এসব থামবে না! বিচার করো রাষ্ট্র। অপরাধের সাথে কোনো আপস নেই, অপরাধীদের বিচার চাই।’
মৌসুমী হামিদ লিখেছেন, ‘আমি তোফাজ্জল হত্যার বিচার চাই। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ তমা মির্জা লিখেছেন, ‘আমি বিচার চাই’।
প্রতিবাদ জানিয়ে সঙ্গীতশিল্পী আহমেদ হাসান সানি জানান, এই দুই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে গান করবেন না তিনি। সানি লিখেছেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে এটি আমার বিবেকের প্রশ্ন। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা