শালীন পোশাক পরার আহ্বান সানা খানের

ভারতীয় অভিনেত্রী সানা খান ‘ইসলামের শিক্ষা’ দ্বারা আলোকিত হয়ে বিনোদন শিল্প ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেরিয়ারের রেখচিত্র যখন ঊর্ধ্বমুখী, নাম-যশ-খ্যাতির চাকচিক্য ছেড়ে ইসলাম ধর্মে পথে হেঁটেছিলেন। ২০২০ সালে ইতি টেনে ধর্মে মন দেন তিনি। সানার হঠাৎ অভিনয় ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সবাইকে অবাক করেছিল। তবে সানা খান বলেছেন, শোবিজ ছাড়ার সিদ্ধান্তের সময়টি ছিল আমার জীবনের ‘সবচেয়ে আনন্দের দিন’। এবার মেয়েদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে সানা খানের ছুড়ে দেয়া প্রশ্ন সঠিক না বেঠিক- তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন নেটিজেনরা।
সাবেক এই বলিউড অভিনেত্রী বিবাহিত পুরুষদের উদ্দেশে ছুড়ে দেয়া প্রশ্নে বলেছেন, ‘প্রত্যেক পুরুষই চায় তার স্ত্রী এমন পোশাক পরুক, যাতে শালীনতা বজায় থাকে। কিন্তু যখন দেখি পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের ছোট পোশাক পরতে দেয়, তখন আমি অবাক হই। বুঝতে পারি না সমস্যাটা কোথায়! অন্য পুরুষরা যখন আপনার স্ত্রীকে হট বলেন- সেটি কি আপনার ভালো লাগে?’
এরপরই নিজের উদাহরণ দিয়ে সানা বলেছেন, ‘আপনারা জানেন ২০১৯-এ আমি যখন ঠিক করলাম, এসব কিছুকে আমি বিদায় জানাব, সেই সময় আমিও কিছু খারাপ কাজ করছিলাম। আমি জানতাম, সমাজিকমাধ্যমে দর্শক যেভাবে আমায় দেখছে, বাস্তবে আমি তেমন মানুষ নই। আমি নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরতাম, নাচতাম। আমার মনে হয় আমি যুবকদের পথভ্রষ্ট করেছি।’
সানার এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এখন দ্বিধাবিভক্ত বলিউড ও নেট দুনিয়ার বাসিন্দরা। তাদের কেউ বলছেন, সানা তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নারী স্বাধীনতাকে যেমন খর্ব করেছেন, তেমনি শুনিয়েছেন পুরুষশাষিত সমাজের জয়গান। একসময় যে অভিনেত্রী বোল্ড লুকে পর্দায় নিজেকে তুলে ধরেছেন, তার মুখে এমন কথা মানায় না।
নেটিজেনদের আরেক পক্ষের কথায়, পোশাক নারীদের শালীন রাখে এবং সৌন্দর্য তুলে ধরে। আধুনিকতার নামে যারা ছোট পোশাক পরেন, তারা মূলত নিজেদের আবেদনময়ীরূপে তুলে ধরতে চান; যা কিছু মানুষকে বিব্রত করে, আবার কিছু মানুষের কামনাকে উসকে দেয়। তাই সানার প্রশ্ন পুরোপুরি যৌক্তিক।