২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শিক্ষিকা থেকে অভিনেত্রী সাহেলা আক্তার

শিক্ষিকা থেকে অভিনেত্রী সাহেলা আক্তার -

নাটকে ও সিনেমার দর্শকের কাছে প্রিয় একজন অভিনেত্রী সাহেলা আক্তার। সাধারণত তিনি নাটকে সিনেমায় মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করেন। অভিনয়ের দুনিয়ায় তার পথচলা দেড় দশক আগে। যদিওবা নরসিংদীর মনোহরদী থানার সল্লাবাঈদ গ্রামের রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে তিনি। কিন্তু ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল অভিনয় করার। একসময় পরিচালক মনির হোসেন জীবনের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করেন। দুই বছর পর তার সাথে যোগাযোগ করে ২০০৯ সালে মনির হোসেন জীবনের পরিচালনায় সাহেলা প্রথম নাটকে অভিনয় করেন। নাটকের নাম ছিল ‘ভবের মানুষ’। তবে ২০০৭ সালে সাহেলা পড়াশোনা শেষ করে রাজধানীর হলিচাইল্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক (বিষয় : গণিত) হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ২০১০ সালে মনির হোসেন জীবনেরই ধারাবাহিক নাটক ‘গুনীন’-এ অভিনয় করতে টানা ১৪ দিন শুটিং করতে হয়েছিল। পরে স্কুলে গেলে তিনি জানতে পারেন তার চাকরি আর নেই। এর পর থেকে অভিনয়েই মনোযোগী হয়ে ওঠেন সাহেলা। মনির হোসেন জীবন ছাড়া অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি সাদেক সিদ্দিকী, শবনম পারভীনসহ আরো বেশ কয়েকজনের পরিচালনায় নাটকে অভিনয় করেন। সাহেলার ভাষ্য মতে তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নাটকে অভিনয় করেছেন বিগত দেড় দশকে। তার অভিনীত প্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘এই শহরটা আমার জন্য না’, ‘চন্দ্রাবতী’, ‘কারাতে বউ’, ধারাবাহিক ‘বউ শ^াশুড়ি’, ‘রঙের ভালোবাসা’, সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘প্রতিবেশীর ভালোবাসা’ ইত্যাদি। সাহেলা ১৫টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘হৃদয়ে ৭১’, ‘ছায়াবৃক্ষ’, ‘কমিশনার’, ‘ভাঙ্গা মন’, ‘সীমানা’, ‘কথা দিলাম’, ‘বিয়ে আমি করব না’ ইত্যাদি। জীবনে প্রথম টানা পাঁচ দিন শুটিং করে তিনি ৫০১ টাকা পেয়েছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement