২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘দেনা পাওনা’ দিয়েই আবার শুরু নাজনীন চুমকির

-

বেশ কিছু দিন শুটিং বিরতিতে ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ড. নাজনীন চুমকি। শুটিংয়ের বিরতিতে থাকার পর অবশেষে আবারো কাজে ফিরেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। দীপ্ত টিভিতে প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’র শুটিং করার মধ্য দিয়ে চুমকি আবারো কাজে ফিরলেন। এই চুমকি নাটকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘আফসানা’ চরিত্রে অভিনয় করছেন। যেহেতু এই ধারাবাহিকটি দীপ্ত টিভির প্রতিদিনের ধারাবাহিক। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ নানান সমস্যা চলমানের মধ্য দিয়েই নাটকটির নির্মাণ কাজ আবারো শুরু হওয়াও জরুরি হয়ে উঠেছিল। তাই আবারো শুরু হলো ‘দেনা পাওনা’র ধারাবাহিকের শুটিং। চুমকি জানান, এরই মধ্যে তিনি এই ধারাবাহিকের কাজ ছাড়াও অয়ন চৌধুরী রচিত অম্লান বিশ^াস পরিচালিত দু’টি নাটকের কাজও শেষ করেছেন এর মধ্যে। তবে চুমকি জানান, ‘দেনা পাওনা’ ধারাবাহিক নাটকটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন গোলাম মোক্তাদির শান। এখন নাটকটি পরিচালনা করছেন আশীষ রায়। চুমকি বলেন, ‘দেনা পাওনা ধারাবাহিক নাটকটিতে চুমকি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আমি শুরু থেকেই বেশ ভালো সাড়া পেয়ে আসছি। মাঝে দেশের মধ্যে বিরাজমান পরিস্থিতির জন্য কিছু দিন শুটিং বন্ধ ছিল। তবে যেহেতু দেনা পাওনা প্রচার চলতি একটি প্রতিদিনের ধারাবাহিক, সে কারণে নাটকের শুটিং করাও যেন জরুরি হয়ে পড়েছিল। এরই মধ্যে আমরা শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি। তবে আগে পরিচালক হিসেবে ছিলেন গোলাম মোক্তাদির শান। এখন পরিচালক হিসেবে আছেন আশীষ রায়। আর আমি এরই মধ্যে অম্লান বিশ^াসের পরিচালনায় দুটি চমৎকার গল্পের নাটকে অভিনয় করেছি। দুটো নাটক নিয়েই আমি ভীষণ আশাবাদী। কারণ যেহেতু আমি নিজেও একজন নির্মাতা এবং নাট্যকার। তাই গল্প আমি বেশ ভালো বুঝি। সে কারণেই বললাম অম্লান বিশ^াসের দু’টি নাটকই ভালো হয়েছে।’ এদিকে কিছু দিন আগেই চুমকি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে এই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশের শিশু থিয়েটার চর্চা (১৯৯১-২০১০)’। চুমকি জানান, এটা তার জন্য খুবই আনন্দের খবর। এটার জন্য দীর্ঘ একটা পরিভ্রমণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। তার জীবনের অন্যতম এই প্রাপ্তিতে বিশেষত তার কাছের মানুষেরা এবং শুভাকাক্সক্ষীরা তার এই ডিগ্রি অর্জনে মন থেকে খুশি হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গার মেয়ে চুমকি চুয়াডাঙ্গাতেই অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে চুমকি উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন এবং জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। পরে ১৯৯৯ সালে ‘যেতে যেতে অবশেষে’ নাটকের মধ্য দিয়ে ছোটপর্দায় অভিষেক ঘটে তার। নাটকটির পরিচালক ছিলেন অনন্ত হীরা।


আরো সংবাদ



premium cement