দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হলেন যারা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ মে ২০২৪, ২৩:০১, আপডেট: ২২ মে ২০২৪, ০০:৩৩
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মোট ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ। বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নয়া দিগন্তের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঢাকা বিভাগ
আড়াইহাজার
আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম স্বপন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজালাল মিয়া দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ ভোট।
আনারস প্রতীক নিয়ে কাজী সুজন ইকবাল পেয়েছেন ১ হাজার ৯৯৭ ভোট।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ জামান বাবুল। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭ ভোট।
অন্যদিকে সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৪৫ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. ওহিদুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবীর বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর অভিযোগ নেই। নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গোয়ালন্দ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ষষ্ঠ নির্বাচনে মোস্তফা মুন্সি চেয়ারম্যান ও আসাদুজ্জামান চৌধুরী টিয়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মুন্সি আনারস প্রতিক ২৯ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চকরিয়া
ষষ্ট দ্বিতীয় দাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী পুনরায় বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১১৪টি ভোট কেন্দ্রে একটানা ভোট গ্রহণ চলে।
সর্বশেষ ফলাফলে জানা যায়, ফজলুল করিম সাঈদী (দোয়াত কলম) প্রতীক ৫৬ হাজার ১২৬ ভোট পয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জাফর আলম (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।
কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটের উপস্থিতি কম ছিল।
পেকুয়ায়
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শাফায়েত আজিজ রাজু। ৪৪টি কেন্দ্রে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৯৩টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রুমানা আকতার আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৪ ভোট।
মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম জয়।
শাফায়েত আজিজ রাজু পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ইতোপূর্বে দু’বার পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারসহ তিনবার বিজয়ী হওয়ায় তিনি চেয়ারম্যান পদে হ্যাট্টিক বিজয় অর্জন করেছেন।
জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পর রাজুকে উপজেলা বিএনপির পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।
উল্লেখ্য, শাফায়েত আজিজ রাজু বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মাহমুদুল করিম চৌধুরীর জৈষ্ঠ ছেলে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, পেকুয়া উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৭৩ হাজার ৯৯৪ ও মহিলা ভোটার ৬১ হাজার ৩০৬ জন। মোট কেন্দ্র ৪৪টি, ভোট কক্ষ ৩১৮টি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ২১ মে পেকুয়ায় সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বান্দরবান
বান্দরবানের দুই উপজেলায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে লামায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোস্তফা জামাল এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে বিএনপি-জামায়াত ঘরোনার প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ।
রাতে বেসরকারিভাবে তাদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় তোফায়েল আহমেদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী শফিউল্লাহ আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়েছেন।
এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: কামাল উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানজিদা আক্তার রুনা নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে লামা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোস্তফা জামাল আনারস প্রতীকে ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদীপ দাশ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা সুলতানা নির্বাচিত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ব্রাহ্মবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘোষিত ফলাপল অনুযায়ী, কসবা উপজেলায় ছায়েদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাউসার ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
অন্যদিকে আখাউড়া উপজেলায় মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
রাঙামাটি
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙামাটির রাজস্থলী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজস্থলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রিয়াজ উদ্দীন রানা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৮ ভোট।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন দোয়াত কলম প্রতীকে ৭ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৩ ভোট।
রাতে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
অপরদিকে বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফলাফল না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো ফলাফল ঘোষণা করেননি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত দোয়াত কলম প্রতীকের বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বরুড়া, কুমিল্লা সদর
কুমিল্লার বরুড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক হামিদ লতিফ ভুইয়া কামাল ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় আবদুল হাই বাবলু বিজয়ী হয়েছেন। হামিদ লতিফ ভূইয়া কামাল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ এন এম মইনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪ ভোট।
আবদুল হাই বাবলু হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন পেয়েছেন আনারস প্রতীকে ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন গোলাম সারোয়ার। তিনি পেয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট।
খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদে মো: দিদারুল আলম (আনারস), পানছড়ি উপজেলা পরিষদে চন্দ্র দেব চাকমা (কাপ-পিরিচ) ও দীঘিনালা উপজেলা পরিষদে ধর্মজ্যোতি চাকমা (মোটরসাইকেল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম (আনারস) ১৬ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী কল্যাণ পরিষদের নেতা সন্তোষিত চাকমা (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৬৫ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাউচিং মারমা (তালা) ১৬ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: আসাদ উল্লাহ (বই) পেয়েছেন ১০ হাজার ৩১৭ ভোট। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কল্যানী ত্রিপুরা (কলস) ১৭ হাজার ৪৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপু ত্রিপুরা (ফুটবল) পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭৭ ভোট।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদের ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) সমর্থিত চন্দ্র দেব চাকমা (কাপ-পিরিচ) ২৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিটন চাকমা (আনারস) পেয়েছেন ১৬ হাজার ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈকত দেওয়ান (টিউবওয়েল) ২৪ হাজার ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিরণ ত্রিপুরা পেয়েছেন ৭ হাজার ৩১৮ ভোট। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিকা ত্রিপুরা (ফুটবল) ২১ হাজার ২৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুজাতা চাকমা (কলস) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪৭ ভোট।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদে ইউপিডিএফ (প্রসীত) সমর্থিত ধর্মজ্যোতি চাকমা (মোটরসাইকেল) ৩৩ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো: কাশেম (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৮৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুসময় চাকমা (চশমা) ৩১ হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সীমা দেওয়ান (কলস) ৩০ হাজার ১৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
বগুড়া
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বগুড়ায় আদমদীঘি উপজেলায় পুনঃরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু।
তিনি ৩২ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৪৩ ভোট।
দুপচাঁচিয়া
দুপচাঁচিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব ৩৭ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল হক প্রামানিক ২০ হাজার ৯৯ ভোট পেয়েছেন।
কাহালু
কাহালুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ ৩০ হাজার ৩৬৮ ভোট পেয়ে পুনঃরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ২৬ হাজার তিন ভোট।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুলনা বিভাগ
যশোর
যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (২১ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৮১টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
তিনি এর আগে তৃতীয় ও চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন। পঞ্চম বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।
এই ভোটে এস এম হাবিবুর রহমান (আনারস) প্রতিকে ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব্ন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান (মোটরসাইকেল) প্রতিকে ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট পেয়েছেন। এস এম হাবিবুর রহমান তৃতীয় বারের মতো চৌগাছা উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পেলেন।
এদিকে প্রথম বারের মতো উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা খানম (হাঁস) প্রতিকে ২৬ হাজার ৬০ ভোটপেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আকলিমা খাতুন লাকি (কলস) প্রতিকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুরুষ ভাইসচেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শামিম রেজা নির্বাচিত হয়।
২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৮১টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই উপজেলায় ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রয়ারি চৌগাছা পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবার ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পৌরসভার বাইরে ১১টি ইউনিয়নের ভোটাররা এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিলেন।
উল্লেখ্য চৌগাছা উজেলায় পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৪২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯ হাজার ২৩৬ জন এবং নারী ভোটার ৯৭ হাজার ২০৬ জন। ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটর্নিং কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা নির্বাচনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেন।
এদিকে, যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীকের সোহরাব হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতিকের অহিদুজ্জামান পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে তালা প্রতিকের আব্দুর রহিম সর্দার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৯৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কলস প্রতিকের শাহরিন আলম বাদল পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৬ ভোট।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে কলস প্রতিকের শামিমা খাতুন সালমা বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলেয়া খাতুন পেয়েছেন ৭ হাজার ৭২৯ ভোট।
দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দৌলতপুর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মোট ৯৭ হাজার ২৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো: আনিসুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: কামরুজ্জামান কামরুল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪৫ হাজার ৫৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: জাহেরুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৫৯ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা: ইকফাত আরা জলি কলস প্রতীকে ৫০ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ
গৌরীপুর
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা।
৯৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি আনারস প্রতীকে ৫৫ হাজার ৮৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) দোয়াত কলম প্রতীকে মোফাজ্জল হোসেন খান পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৬৭ ভোট।
ভোটের ব্যবধান ৭ হাজার ৯২৮ ভোট।
বকশীগঞ্জ
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে জামালপুর-১ আসনের এমপি নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (সাত্তার) বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসারের সর্বশেষ তথ্য মতে, ঘোড়া প্রতীকে নজরুল ইসলাম (সাত্তার) উপজেলা ৫৩টি ভোটকেন্দ্রের সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।
এই উপজেলায় মো: শাহজামাল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ভাইস এবং জহুরা বেগম হাঁস প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসলামপুর
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম।
রিটার্নিং অফিসারের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক ইকবাল হিরো মাইক প্রতীক পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আাবিদা সুলতানা যুঁথী কলস প্রতীক ১২ হাজার ১২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনজু মনোয়ারা বেগম ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০ ভোট।
ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে উপজেলার ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও দু’জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই উপজেলায় ভোট পড়েছে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগ
গলাচিপা, পটুয়াখালী
প্রথমবারের মতো পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়ানা মার্জিয়া নিতু নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মু. সাহিন পেয়েছে ২৯ হাজার ৮৭৩ ভোট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা