গাইবান্ধায় নির্বাচন বন্ধে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি : সিইসি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১৫:৪৭
গাইবান্ধায় নির্বাচন বন্ধে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এটি সিইসির একক কোনো সিদ্ধান্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল।
বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুল আওয়াল বলেন, পরিস্থিতি গভীর ও সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর সতর্ক করা হলেও প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেয়নি, তাই বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।
অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি গঠন হয়েছে। সাত দিনের মধ্য রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারপর এই নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সিইসি বলেন, আমরা যা করেছি দেখেশুনে চিন্তাভাবনা করেই করেছি। আমার ওপর কোনো চাপ নেই সকলেই শান্তিপূর্ণ ভোট চায়। ঢাকায় বসে জাহাজে বসে না ঘরে বসে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি বিষয় নয়, কমিশন চাইলে আইন অনুযায়ী যেকোনো জায়গায় বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
তিনি বলেন, এরপর একে একে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের অবস্থা একই রকম দেখা যায়। এরই মধ্যে রিটার্নিং অফিসার একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন। আমি এবং বেগম রাশেদা সুলতানা রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে টেলিফোনে কথা বলি। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। অন্য কেন্দ্রগুলোতেও সিসিটিভি দেখার সময় পেলে দেখা যেত যে ওই কেন্দ্রগুলোতেও একই অবস্থা। কমিশন মনে করে যে এ ধরনের একটি আইনবহির্ভূত ভোগগ্রহণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
‘তাই কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অনিয়মগুলো তদন্ত করে আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা