২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইভিএমে এখনো আস্থা আসেনি, ১০ মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা উদ্ভট : সিইসি

- ছবি - সংগৃহীত

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভুলত্রুটি ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণাকে উদ্ভট বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিং ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পুরোপুরি আস্থাভাজন হতে পারিনি। ইভিএমের ত্রুটি শনাক্ত করতে পারলে কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণার মতো কোনো ‘উদ্ভট কথা’ কোথাও বলা হয়নি।

আজ মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকে এ সব কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নানা মহলে চলমান সমালোচনার মধ্যে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনকে প্রহসনে রূপান্তর করার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। এটি আমরা অন্তর থেকে বলছি। সুন্দর নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থধারা অব্যাহত থাকুক।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২২ উপলক্ষ্যে শনিবার মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোঃ আনিছুর রহমান। ওই সভায় তিনি বলেন, ‘ইভিএমের কোনো ভুলত্রুটি যদি কেউ ধরতে পারে তার জন্য আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভোট দিনেই হবে। রাতে কোনো ভোট হবে না।’

এমন বক্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করেন সিইসি। এ বিষয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মোঃ আলমগীর ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এই বক্তব্য শোনার পর ইসি বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করেছে। যারা ইভিএম নিয়ে কাজ করছেন, ইভিএম তৈরি করছেন, তারা এটা বলেছেন ভালোবাসা বা উচ্ছ্বাস থেকে। সেখান থেকে এ বিষয়টি এসেছে। এটা নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের বক্তব্য নয়, তিনি আরেকজনের কাছ থেকে শুনে কোট করতে গিয়ে হয়তো একটু বিভ্রান্তি হয়ে গেছেন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন সিইসি। বলেন, ‘মিডিয়ার সময় কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি। কমিশনকে অপদস্ত করার জন্য, সিইসিকে অপদস্ত করার জন্য কথাটা বলেননি। কথাটা আসলে কিছুটা স্মৃতিভ্রমভাবে হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

আনিছুরের এই বক্তব্যে কমিশনের অবস্থানের অবনমন হয়েছে বলেও মনে করেন সিইসি। বলেন, ‘ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এতে। ইসির প্রতি মানুষ আস্থা আনতে চায়, শুরুতে যদি বিনষ্ট হয়ে যায় তা হলে কমিশন আগামী যে জনপ্রত্যাশিত নির্বাচন, সেটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এখনো চেষ্টা করছি, চার কমিশনার ও আমি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

সিইসি যখন এই কথাগুলো বলছিলেন, সেখানে আনিছুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল