পুনঃনির্বাচনের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের
- বগুড়া অফিস
- ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৩
বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাবের সামনে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়। অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলার সমন্বয়ক, বাসদ বগুড়া জেলার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পল্টু।
বক্তব্য রাখেন সিপিবি বগুড়া জেলা সভাপতি জিন্নাতুল ইসলাম, গণ সংহতি আন্দোলন বগুড়া জেলা সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ, বাসদ বগুড়া জেলা সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান টুটুল, বাসদ (মার্ক্সবাদী) বগুড়া জেলা নেতা আমিনুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বগুড়া জেলা নেতা শাহাদত হোসেন শান্ত। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া-৬ এর সংসদ সদস্য প্রার্থী আমিনুল ফরিদ এবং বগুড়া-৭ এর সংসদ সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম, সিপিবি বগুড়া-৫ আসনের প্রার্থী সন্তোষ কুমার পাল, বাসদ (মার্ক্সবাদী) বগুড়া-৫ এর প্রার্থী রঞ্জন দে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে কোটি কোটি ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করে আরও একবার যে জবরদস্তীমূলক প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করা হলো বাম গণতান্ত্রিক জোট এই নির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ভর্তি করে রাখা ,নিরাপত্তার নামে নজিরবিহীন ভয়ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও ন্যাক্কারজনক ভূমিকা, বাম জোটের একাধিক প্রার্থীসহ বিরোধী দলের প্রার্থী ও এজেন্টদের আটক, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়ায় দেশবাসীও এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে গোটা নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। তারা বলেন , ভোর থেকেই দেশব্যাপী ভোট কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্য জালিয়াতি, ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার সিল মারতে বাধ্য করা, বিরোধী দলীয় ভোটারদের জোর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, কোথাও সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি অসংখ্য ঘটনার মধ্যে দিয়ে সমগ্র নির্বাচনকে পুরোপুরি অর্থহীন ও হাস্যকর করে তোলা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নৌকা মার্কায় ভোট না দেয়ায় পারুল বেগমের গণধর্ষণ জাতিকে হতবিহ্বল করে দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ ধর্ষণকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। দলীয় সরকারের অধিনে বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যে কোন অবকাশ নেই তা আরেকবার প্রমাণ হলো। এই নির্বাচন ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এই নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।