১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রজব ১৪৪৬
`

‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ বাতিল

‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল করা হয়েছে - ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত রাখার জন্য ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে একটি আইন করে। ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ শীর্ষক ওই আইনে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক এখনো এনআইডি ইসির অধীনেই আছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এনআইডি আইন-২০২৩ বাতিল করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে ইসি জানায়, ‌‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ (১) অনুসারে রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। পাশাপাশি ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা ১১ ও ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৩(গ) এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, হালনাগাদসহ প্রাসঙ্গিক কার্যাদি নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। বর্ণিত কার্যক্রম থেকে ফলাফল হিসেবে যে দু’টি বিষয় পাওয়া যায় তা হচ্ছে ক) ভোটার তালিকা এবং খ) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।’

ইসি জানায়, ‘জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও একই ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হয়। বিগত ২০২১ সালের ১৭ মে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্ত করার বিষয়ে তৎকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০২১ সালের ৭ জুন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে মতামত দেয়া হয়। ’

‘এরপর নির্বাচন কমিশনের সাথে আর কোনো যোগাযোগ/আলোচনা ছাড়াই ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ (২০১০ সালের ৩ নম্বর আইন) বাতিল করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ (২০২৩ সালের ৪০ নম্বর আইন) প্রণয়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর ১৯৬৬ সালের রুলস অব বিজনেসের অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড বিভিশনসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বসমূহের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’

মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো চিঠিতে আরো জানানো হয়, ‘২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ জারি করা হলেও আইনের ধারা ১(২) অনুযায়ী গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে আইনটি কার্যকর করার শর্ত ছিল। তবে আজ পর্যন্ত তা করা হয়নি বিধায় ধারা ৩০(৩)-এর উপধারা ১(খ) অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে পরিচালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে বহাল রাখার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বরাবর নির্বাচন কমিশন থেকে অনুরোধ করা হয়।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল