ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগে উদ্বেগ সিএইচআরএলআর-এর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৪
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হত্যার প্রকাশিত হয়েছে। একে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুশাসনের ঘাটতি বলে মন্তব্য করেছে মানিবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড লিগ্যাল রিসার্চ (সিএইচআরএলআর) বাংলাদেশ।
গণমাধ্যমে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিএইচআরএলআর বলেছে, শান্তিপূর্ণ ভিন্নমত প্রকাশ এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন সাংবিধানিক অধিকার। এটি অপরাধ নয়।
সিএইচআরএলআর-এর সভাপতি বিচারপতি শহিদুল ইসলাম (অবসরপ্রাপ্ত) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সংবিধান শান্তিপূর্ণ ভিন্নমত, সমাবেশ, বিক্ষোভ ও বিক্ষোভের অধিকার দিয়েছে। সরকার নিজেই শান্তিপূর্ণ বিবেচিত একটি আন্দোলনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, ব্যাপক প্রাণহানি এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতি জবাবদিহিতার তীব্র অভাব নির্দেশ করে। বিক্ষোভে জড়িত না থাকা শিশু ও কিশোর-কিশোরীসহ আরো নানাজনের মৃত্যুর খবর উদ্বেগজনকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এই মৃত্যুর জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।‘
সিএইচআরএলআর-এর সভাপতি ১৬ জুলাই ছয়টি মৃত্যুর বিষয়ে বিচার বিভাগীয় কমিশনের সীমিত তদন্তের সমালোচনা করেছিলেন। প্রশ্ন করেছিলেন যে অন্য জীবনগুলোকে মূল্যহীন বলে গণ্য করা হয়েছে কিনা।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীরা এখন গ্রেফতার, অপহরণ, নির্যাতনের ভয়ে দিন-যাপন করছে। শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দ্বারা অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছে।
অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি আরো বলেন, ‘মন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে কোনো শিক্ষার্থী নৃশংসতার সাথে জড়িত ছিল না। তবুও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবৈধ অপহরণ সাংবিধানিকভাবে প্রতিবাদ করার অধিকারকে অবজ্ঞা করে। এটি বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতার জন্য একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে।
তিনি ইন্টারনেট বন্ধকে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন। যার উদ্দেশ্য ছিল বিনামূল্যে তথ্য প্রবাহে বাধা দেয়া।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ডেটা সেন্টারে অগ্নিসংযোগের আড়ালে নাগরিকদের ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন করা, ডিজিটাল অধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা, ব্যবসা এবং বাণিজ্য ব্যাহত করেছে। এটা সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর ভিশনের বিপরীত। মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করতে, তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সম্পূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’
তিনি বিক্ষোভ চলাকালীন অগ্নিসংযোগ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই বৃহৎ মাত্রার ক্র্যাকডাউন রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতি সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগের প্রকাশ করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা