কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খোলেনি এখনো, টিকা নিয়ে জটিলতা
- সাজ্জাদুল ইসলাম তানিম, কুবি
- ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:১৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে ক্লাস, পরীক্ষাসহ নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম। কিন্তু এখনো খোলেনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা নিয়েও জটিলতা কাটেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টিকা নিয়েও জটিলতায় আছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই পাননি টিকার প্রথম ডোজ। টিকা প্রদানে বুথ স্থাপনে দেখা দিয়েছে প্রক্রিয়াগত জটিলতা।
গত ১১ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টিকাবিষয়ক একটি কনফারেন্স করে। কনফারেন্সে অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি দিয়ে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর সকল শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দানে বুথ বসানোর জন্য অনুমতি চাইবো।
এ দিকে প্রথম ডোজও টিকা না নেয়া ইরফানুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সদরে গেলে টিকা দিতে পারবো। এটি বলা হয়েছে। কিন্তু এখনো মেসেজ আসেনি। তাই তারা টিকা দিতে চায় না। আবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিবে ২ নভেম্বর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বুথ বসিয়ে যাদের এনআইডি নেই তাদেরও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে টিকা দেয়া হয়েছে। তবে আমরা কেনো পাব না- আমাদের ক্যাম্পাসে এমন সুযোগ।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে টিকা দিয়ে আসা রোমা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাড়ি রামু উপজেলায়। তাই আমার কোভিড-১৯ এর কেন্দ্র ছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রামুতে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার চলার কারণে কুমিল্লায় চলে আসতে হয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণের তারিখ আসায় টিকা দিতে সিভিল সার্জন অফিসে গেলাম। সেখানকার একজন তথ্যদাতা বলেছেন- আপনার কেন্দ্র যেহেতু রামুতে, আপনাকে সেখানে গিয়েই টিকা দিতে হবে। পরে আবার সিভিল সার্জন থেকে অনুমতি নিয়ে টিকা দিয়েছি। কিন্তু প্রসাশনের উচিত ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যেখানের হোক তার জন্য নিজ ক্যাম্পাসে টিকা নিশ্চিত করা যাতে তারা কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে বুথ বসিয়ে টিকা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আমরা বুথ বসাতে পারতাম। কিন্তু ইউজিসি থেকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় বুথ বসাতে পারবে। তাই আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি পাঠিয়েছি। যখন অনুমতি দিবে তখন তারিখ নির্ধারণ করে আমরা সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি পাঠাবো।