ইউজিসির সফট লোনে জবি শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক মনোভাব
- জবি প্রতিবেদক
- ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৯, আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:০১
অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্যানুসারে চলতি মাসে জবির পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ইউজিসির সুদমুক্ত ঋণ পাচ্ছে এমন খবরে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রাক্কালে ইউজিসির এ ঋণ প্রকল্পকে তামাশা হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সফ্ট লোন পেতে মোবাইল কেনার রশিদ আগে জমা দিতে হবে তারপর লোন দিবে এমন প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। লোন পাওয়ার আগে মোবাইল কেনার জন্য টাকা কোথায় পাবে এ নিয়ে প্রশ্নও তোলেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনলাইনে ক্লাস শুরু হলে নানবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা ছিল ডিভাইস সঙ্কট। করোনার দীর্ঘ এ সময় অতিবাহিত হওয়ায় প্রায় সবাই অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য যেকোনো উপায়ে ডিভাইসের ব্যবস্থা করেছি। খুব শিগগিরই ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান। এই মুহূর্তে ইউজিসির ঋণ তেমন কোনো কাজে আসবে না।’
এ দিকে গত ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সফট লোনের অর্থ দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৭ জানুয়ারির মধ্যে ডিভাইস কেনার ভাউচার বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে বিভিন্ন বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বিভাগ ও শিক্ষার্থীরা মনে করেন সফট লোনের টাকা পাওয়ার আগেই ডিভাইস কেনার ভাউচার বিভাগে জমা দিতে হবে। এ নিয়ে শিক্ষাথীদের মাঝে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়। তাই অনেক শিক্ষার্থী আবেদন করতে অনীহা প্রকাশ করেন বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতর থেকে জানা যায়, লোন দেয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন চাওয়া হলে এখন পর্যন্ত ২৪ বিভাগ থেকে প্রায় ৫০০ জনের মতো শিক্ষার্থী লোন নিতে আবেদন করেছে। গত বছরের ৪ নভেম্বর এক সভায় করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের লক্ষ্যে মোবাইল কিনতে দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪১ হাজার ৫০১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠানো আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি তিন হাজার ছয়জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে লোন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ঋণ নেয়া শিক্ষার্থীরা চারটি কিস্তিতে অথবা এককালীন আসল টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। তবে ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোনো ট্রান্সস্ক্রিপ্ট ও সাময়িক বা মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা