০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তির প্রস্তুতিতে ভাটা

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তির প্রস্তুতিতে ভাটা - নয়া দিগন্ত

দীর্ঘ ছুটিতে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্থগিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও। যদিও চলতি বছর থেকেই বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ পদ্ধতির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে সেই প্রস্তুতিতে ভাটা পড়েছে। ইতোমধ্যে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার একাধিক সভাও স্থগিত হয়েছে। তবে ইউজিসি মনে করছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকে রেজাল্ট প্রকাশ পর্যন্ত যে সময়টুকু পাওয়া যাবে সেই সময়ের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করে স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। শিক্ষার্থীদের সময়ের কোনো অবচয় হবে না।

ইউজিসির একটি সূত্র জানায়, চলতি বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রস্তুতের সার্বিক কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ইতোমধ্যে গত মাসের ২৪ তারিখে বিশ^বিদ্যালয় ভিসিদের সাথে জগন্নাথ বিশ^বিদালয়ের ভিসির নেতৃত্বে একটি সভা করার দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকলেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সেটি স্থগিত করা হয়। এরপর পূর্বনির্ধারিত মে মাসের শেষে এবং এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে আরো দুটি সভা হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সেগুলোর কোনো একটিও আর হয়নি।

এর মধ্যে চলতি মাসেও ইউজিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকদের সাথে অন্য কয়েকটি বিশ^বিদ্যালয় ভিসিদের ভার্চ্যুয়াল মিটিং করার প্রস্তুতি নেয়া হলেও সেই সভাটিও করা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমে অনেকটাই ভাটা পড়েছে।

এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে গতকাল শনিবার বিকেলে ইউজিসির পরিচালক প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন নয়া দিগন্তকে জানান, প্রস্তুতি মোটামুটি আমরা আগেই নিয়ে রেখেছি। কেননা ভর্তি প্রক্রিয়ার একটি গাইডলাইন ইতোমধ্যে (গুচ্ছতে অংশ নেয়া ) সব বিশ^বিদ্যালয় ভিসিদের জানানো হয়েছে। প্রশ্ন পদ্ধতির বিষয়টিও ঠিক করা হয়েছে। এবার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে হবে ভর্তি পরীক্ষা। আর বিভাগ অনুযায়ী তিন দিনে তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকে রেজাল্ট প্রকাশ পর্যন্ত যে সময়টুকু পাওয়া যাবে আশা করছি সেই সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ করা যাবে। এতে ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্টদের কোনো বেগ পেতে হবে না বলেও তিনি মনে করেন।

ইউজিসির এই পরিচালক আরো জানান, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর এ বছর ভর্তি কার্যক্রমে খুব বেশি সময় পাওয়া যাবে না। তাই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়া পাঁচটি বিশ^বিদ্যালয় চাইলে আবারো তাদের সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসে অংশ নিতে পারে। এতে সময়ের কোনো অপচয় হবে না। আর শিক্ষার্থীদেরও দুর্ভোগ কম হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি আমরা ওই পাঁচ বিশ^বিদ্যালয় ভিসিদের আবারো জানানো।

ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর প্রাথমিকভাবে চারটি পৃথক গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগের চূড়ান্ত পর্যায় থেকে স্বায়ত্তশাসিত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, বুয়েট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর) সরে যাওয়ার পর এখন বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এই পরীক্ষা আয়োজনের প্রন্তুতি নেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement