বরাদ্দ দেয়া সিট ফিরে পেতে ঢাবি ছাত্রের আমরণ অনশন
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৫৪
বরাদ্দ দেয়া বৈধ সিট ফিরে পেতে আমরণ অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহেদ। সিট বরাদ্দ দেয়ার পাঁচ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিজের সিটে উঠতে না পেরে শেষে বুধবার সকালে অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ওই শিক্ষার্থী। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি অনশনে বসেন।
হলের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ বর্ষে উঠলে শিক্ষার্থীদেরকে মেইন বিল্ডিংয়ে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়। গত বছরের আগস্ট মাসে ওয়াহিদুজ্জামানকে ২৫২ নং কক্ষে সিট দেয়া হয়। কিন্তু সিট দেয়ার দীর্ঘ পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও নিজের সিটে উঠতে পারেননি ওয়াহেদ।
ওয়াহেদের বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, তার রুমে আরো তিন বছরের সিনিয়র শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন। অভিযুক্ত সেই শিক্ষার্থীর নাম শাহাদাৎ হোসেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী। সর্বশেষ গত রমজান মাসে তাকে সিটে থাকতে দিবেন বলে ফ্লোরিং করতে বলেন, কিন্তু এতোদিন পরেও তিনি সিট না ছাড়ায় সেখানে থাকতে পারছেন না ওয়াহেদ।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শাহাদাতের মতো আরো অনেকেই হলে অবৈধভাবে থাকছেন বছরের পর বছর। ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন সিটের অধিকার থেক। কিন্তু এসব অনিয়ম বন্ধে হল প্রশাসনের কোনো নজরদারি কিংবা দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখা যায় না।
সরেজমিন দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওয়াহেদ নিজের সিট ফিরে পেতে অনশনে বসেছেন। হলের অফিস কক্ষের সামনেই অবস্থান নেন তিনি। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হল প্রশাসন এসে তাকে প্রাধ্যক্ষকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহেদ বলেন, গত পাঁচ মাস যাবৎ আমাকে সিট দিবে দিবে বলে আসলেও সিট দেয়নি। অসুস্থ্যতা নিয়েও রুমের মেঝেতে ফ্লোরিং করেছি। হলের প্রাধ্যক্ষ, হল সংসদের ভিপিকে বলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। এর প্রতিবাদে আজ (বুধবার) সকালে অনশনে বসেছি। পরে স্যারেরা আশ্বাস দিয়েছেন বিকেল পাঁচটার মধ্যে আমাকে আমার বৈধ সিট ফিরিয়ে দেয়া হবে। এজন্য অনশন থেকে ফিরে এসেছি।
জানতে চাইলে ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদের ভিপি মাহমুদুল ইসলাম তমাল বলেন, হল প্রশাসনের সাথে মিলে বিষয়টা আমরা সমাধান করে দিয়েছি। এখন থেকে ওয়াহেদ তার সিটে থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মাসুম বলেন, তেমন কিছু হয়নি। সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আমরা ঠিক করে দিয়েছি। বিকেলের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে তার সিটে উঠার ব্যবস্থা করে দিতে আবাসিক শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি সমাধান হয়ে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা