৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

কৃষক দিবসে ৬ কৃষককে সম্মাননা দিলো বাকৃবি

কৃষক দিবসে কৃষকদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে অতিথিরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

কৃষক দিবসে ছয় কৃষককে সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন।

বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষকদের মেরুদণ্ডের উপর ভর করেই বয়ে চলেছে। এসব কৃষকদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও সম্মান নেই। তাই কৃষকদের প্রকৃত সম্মান জানাতে ভিন্নধর্মী এ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) এবং বাকৃবি প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ দিবসটি পালন করা হয়।

‘কৃষকবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণ হউক আমাদের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কৃষকদের মধ্যে নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দিবস উদযাপতি হয়েছে। এ সময় অন্য আয়োজনের মধ্যে ছিল কৃষকদের কাছে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ, কৃষকদের জন্য বাকৃবির খামার পরিদর্শন এবং বীজ বিতরণ কর্মসূচি।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে ‘কৃষক দিবস-২০২৫’। এ সময় কৃষক দিবসে প্রতিযোগিতামূলক সবজি বাগান চাষে সেরা ছয়জন কৃষক-কৃষাণীকে সনদপত্র ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সম্মাননা প্রাপ্ত কৃষকরা হলেন দুই বিঘা জমিতে ব্রোকলি চাষ করা ময়মনসিংহ সদরের সুহিলার ইউনিয়নের আব্দুল খালেক, পৌনে দুই একর জমিতে কলা চাষ করা বয়ড়ার আবদুর রাজ্জাক, শৈলমারীর আদর্শ সবজি চাষি আব্দুল করিম, সমন্বিত পোল্ট্রি খামারি মুক্তিযোদ্ধা বাজারের মোছা: নুরুন্নাহার, বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষি ভাবখালীর হাসনা খানম এবং আদর্শ পোল্ট্রি খামারি মির্জাপুরের আব্দুল হক।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১১টার দিকে বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কৃষক র‌্যালির বের করা হয়। ৩০০ জন কৃষক-কৃষাণীর অংশগ্রহণে র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে কৃষকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (বাউএক) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল হক, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: বাহানুর রহমান। এছাড়া বাউরেসের পরিচালক ড. হাম্মাদুর রহমান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বাকৃবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কৃষকের পাশে থেকে গ্রামীণ অর্থনীতি বিনির্মাণে কাজ করছে। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ ছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ কখনো খাদ্য সঙ্কটে পড়েনি। এর জন্য বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্বায়নের ফলে বাংলাদেশের কৃষিও প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে। ২০ বছর আগে যা কল্পনা করা যেত না, এখন সেগুলো কৃষকের মাঠে উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতেই আমরা কৃষক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আরো কৃষিবান্ধব হতে চাই। কৃষিকে নতুন করে সাজাতে সকল স্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন।’


আরো সংবাদ



premium cement