৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`

বাকৃবিতে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট ও অব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

বাকৃবি ডীন অফিস ভবন - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে অনুষদের দু’টি ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিস ও ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের ভবনে তালা দেন তারা। পরে শিক্ষকদের আশ্বাসে দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন।

ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাদের বিভাগের জন্য বরাদ্দ দেয়া ভবনে চারটি বর্ষের পাঠদান চললেও শ্রেণিকক্ষ রয়েছে তিনটি। এতদিন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ১১৯ নম্বর কক্ষে ক্লাস নেয়া হতো, কিন্তু সম্প্রতি সেটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাবে স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ খালি না থাকায় ক্লাস না করে বসে থাকতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ‘তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অনুষদের ডিন বরাবর লিখিত দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের দাবিগুলো হলো দ্রুত নতুন শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দিতে হবে, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো ইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংসহ তিন বিভাগের পরীক্ষা ভিন্ন সময়ে নিতে হবে, পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান, ল্যাব সরঞ্জাম ও শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতে হবে।’

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘সমস্যার কথা জানাতে গেলে বিভাগের প্রধান অনুষদের ডিনের কাছে পাঠান, ডিন আবার প্রধানের কাছে পাঠান। এভাবে বারবার ঘুরতে হয় কিন্তু সমাধান মেলে না। পরবর্তীতে, দুপুর ২টার দিকে অনুষদের শিক্ষকদের আশ্বাসে তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা।’

ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক প্রধান ড. মো: আব্দুল আলীম বলেন, 'আমাদের ভবনে তিনটি শ্রেণিকক্ষ আছে, যেখানে তিনটি বর্ষের ক্লাস চলে। আরেকটি ছোট কক্ষ আছে সেখানে মাস্টার্সের ক্লাস হয়। কিন্তু এই বিভাগের মোট চারটি বর্ষ চলমান থাকায় শ্রেণিকক্ষের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতদিন ১১৯ নম্বর কক্ষে ক্লাস হতো, সেটাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই ১১৯ নম্বর রুমটি আমাদের দিলে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে।’

এ বিষয়ে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম সঙ্কটের বিষয়টি নিয়ে সকল বিভাগের প্রধানদের সাথে বসে আলোচনা করা হবে। সকলের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও দাবি-দাওয়াগুলো লিখিত আকারে নিয়েছি। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়মতান্ত্রিকভাবে হোক।’


আরো সংবাদ



premium cement