ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২০
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৮, আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ আহত ২০ জন রোববার রাত ১১টার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এক পথচারী, এক সাংবাদিক ও ১৮ শিক্ষার্থীসহ ২০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে তাদের জরুরি বিভাগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপন চৌধুরী (২৩), ইরফান (২০), আশরাফ (২০), মেহেদি (২৩), ফয়সাল আহমেদ (২২), সাদ (২২), হৃদয় (২৩), মাহিন (২২), ইসমাইল(২২), ইমতিয়াজ(২৪), উজ্জ্বল (২৫), মিরাজ (২৩), আমানুল্লাহ (২২), হিমু (২৩), সাব্বির হোসেন (২৪), ঢাকা কলেজের ইব্রাহিম (২৩), রিশাদ (২৩) ও রাকিব (২৪)।
এছাড়া আহত হয়েছে বাংলাদেশ টাইমসের সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ ও পথচারী উজ্জ্বল (৩২)।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এদিন বিকেলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের সাথে অসদাচরণ করেন।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে রোববার রাত ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে যোগ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা। মিছিল প্রতিরোধ করতে জড়ো হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে নীলক্ষেত মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দু’পক্ষ। এরপর শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া। রাত ৩টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় নীলক্ষেত মোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পরে এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন তিনি। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।