উচ্চশিক্ষার কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার ক্রিটিক্যাল রিভিউ প্রয়োজন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:০৫
উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে বিগত সরকারের গৃহীত সংশোধিত কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার ক্রিটিক্যাল রিভিউ প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি)।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআইআইটির মহাপরিচালক, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), ওআইসির ভিজিটিং প্রফেসর মুহাম্মদ আবদুল আজিজ।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ মানবিকতা, যুক্তিবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং দেশপ্রেমের আদর্শ তুলে ধরা হলেও তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সমন্বয়হীন একটি সেকেলে শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ২০১২ সালের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হলেও তার বাস্তবায়নও সফল হয়নি। ২০২১ সালে চালু করা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা নীতিনির্ধারণে অদূরদর্শিতার ও জাতিসত্তার সাথে সাংঘর্ষিক উপাদান থাকায় এটিও ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে বিগত সরকারের গৃহীত সংশোধিত কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার (২০১৮-২০৩০) ক্রিটিক্যাল রিভিউ প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, কেবল এডুকেশনাল ভিশন ও কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি– এ তিন ধাপে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি শিক্ষিত, নৈতিক এবং দক্ষ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষার আমূল সংস্কারসহ শিক্ষা কমিশন গঠনে ২৮ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বিআইআইটি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইআইটি’র ডেপুটি ডিরেক্টর ড. সৈয়দ শহীদ আহমেদ, বিআইআইটি’র কো অর্ডিনেটর আনিসুর রহমান এরশাদ, বিআইআইটি’র সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর মো. লোকমান হোসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষানীতি সম্পর্কিত ১০টি, পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত ৪টি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ২টি, মূল্যায়ন সংক্রান্ত ২টি, ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ৩টি এবং বিবিধ ৭টিসহ মোট ২৮টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
শিক্ষানীতি সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো হলো
১. জাতীয় আশা-আকাঙ্খা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে শিক্ষাদর্শন, ভিশন, মিশন এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। দেশীয় সত্তা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণে, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন, দক্ষ এবং ভালো মানুষ গড়ে তোলাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত জাতীয় শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে।
২. শিক্ষায় যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শহর-গ্রামীণ ভেদাভেদ দূর করে ভারসাম্যপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য শিক্ষা বাজেটে অগ্রাধিকার নীতি চালু করতে হবে।
৩. বিগত বছরগুলোতে উচ্চশিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় উচ্চশিক্ষার মান ধরে রাখার জন্য সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানের দিকে নজর দেয়া উচিত। এ লক্ষ্যে ঢাকা ও জেলার পরিবর্তে বিভাগীয় শহরে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন/অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠিত সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স খোলায় উচ্চশিক্ষার অবনতি ঘটেছে, সেসব বন্ধ করে দিতে হবে।
৪. কারিগরি ধারায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করার জন্য কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্প্রসারণ, গবেষণা কার্যক্রম এবং শিক্ষা মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে কারিগরি শিক্ষার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা উচিত।
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বাছাইকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রিসার্চ বেজড ইউনিভার্সিটিতে উন্নীত করা যায়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ৬০% টিচিং বেজড ও ৪০% রিসার্চ বেজডে উন্নীত করা।
৬. কৃষিনির্ভর দেশ বিবেচনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাপক ভিত্তিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।
৭. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অ্যাফিলিয়েটিং ইউনিভার্সিটির মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, যাতে যত্রতত্র কলেজ-মাদরাসা গড়ে উঠতে না পারে এবং দক্ষ গ্র্যাজুয়েট বের হতে পারে।
৮. সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের মাধ্যমে শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া মেধাবীরা যাতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, এ লক্ষ্যে জেএসসি, পিএসসির আদলে ‘এডুকেশন সার্ভিস কমিশন’ (ইএমসি) গঠন করতে হবে, যা অন্যান্য কর্মক্ষেত্রের তুলনায় সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বৈষম্যবিহীন হবে।
৯. ১ম-৪র্থ আন্তর্জাতিক মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে গৃহীত (১৯৭৭-১৯৮৩) এবং ওআইসির উদ্যোগে মক্কা ডিক্লেয়ারেশনে বাংলাদেশ একটি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে গৃহীত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকারবদ্ধ, যা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
১০. জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট মোকাবিলা ও কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন অথবা জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে, যেখানে শিক্ষানীতি, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্ব, দেশের শিল্প এবং শ্রমবাজারের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিত্ব এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো হলো
১. সব স্তরের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচিতে জীবনমুখী দক্ষতা এবং বিষয়ভিত্তিক, সামাজিক মূল্যবোধের যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
২. জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় সব স্তরে ‘ফান্ডামেন্টালস অব রিলিজিয়ন’ (মুসলিমদের জন্য ফান্ডামেন্টালস অব ইসলাম) বিষয় বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ের সাথে ‘প্রাসঙ্গিক ধর্মীয় কোর্স’ বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেমন– অর্থনীতিতে ইসলামী অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ইসলামি রাষ্ট্রচিন্তা, আইনে ইসলামিক লিগ্যাল থিওরি ইত্যাদি।
৪. আমাদের দেশের শিল্প এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর সাথে মিল রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভাগ চালু ও শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা, যাতে করে আমাদের দেশকে ভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ করতে না হয়। যে বিষয়ে আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার, সেই পরিমাণ জনশক্তি তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় করপোরেট ইন্টারেস্ট-এ সংযুক্ত অপ্রয়োজনীয় পাঠ্যবিষয়গুলো বাদ দিয়ে সোশ্যাল ইন্টারেস্ট-এ প্রয়োজনীয় নতুন বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে শ্রমবাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ের বাস্তব প্রয়োগ নেই, সেগুলোকে ধীরে ধীরে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সঙ্গে একীভূত করে নিতে হবে অথবা বিলুপ্ত করতে হবে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো হলো
১. সব শিক্ষকদের জন্য প্রি-সার্ভিস ও ইন-সার্ভিস ট্রেনিংয়ের আওতায় ‘পেডাগগি স্কিলস (আর্ট অব টিচিং’-এর পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক শিখন প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য জাতীয়ভাবে একটি পৃথক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চালু করতে হবে যেখানে শিক্ষকদের প্রি-সার্ভিস ও ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত থাকবে। এ ছাড়া ওই ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষকদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা বিষয়ে বিদেশি ডিগ্রিধারী হতে হবে।
মূল্যায়ন সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো হলো
১. শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, ব্যবহারিক দক্ষতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে (বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ৫০%, বিশেষায়িত জ্ঞান ২০%, জীবনমুখী দক্ষতা ১০%, নীতিনৈতিকতা ও মূল্যবোধ ১০%, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ১০%)।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের লেভেলের শিক্ষকদের টিচিং, গবেষণা ও নৈতিকতায় যথাক্রমে ৬০%, ৪০% ও ১০% হারে মূল্যায়ন ব্যবস্থা থাকা দরকার।
ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো হলো
১. সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লিডারশিপ) ডিগ্রি থাকতে হবে।
২. সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষানুরাগী শিক্ষক-শিক্ষাবিদ সদস্য, দাতা সদস্যের বাহিরে উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এ ছাড়া নৈতিকতা মূল্যায়নের লক্ষ্যে একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকেও কমিটিতে আওতাভুক্ত করা যায়।
৩. সব স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষা সংস্কারের বিবিধ প্রস্তাবনাগুলো হলো
১. সব ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সাধারণ বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যা ইংরেজি মাধ্যম, বাংলা মাধ্যম, আলীয়া মাদরাসা বা কওমি মাদ্রাসা-সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এসব বিষয়ের মধ্যে থাকবে: বাংলাদেশ পরিচিতি, ইতিহাস ও সভ্যতা, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ধর্ম শিক্ষা। পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতা ও কম্পিউটার দক্ষতা অর্জনকেও বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. দেশের শ্রম বাজার এবং বিশ্ব শ্রমবাজারে জনশক্তি রপ্তানির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিপ্লোমা চালু করা উচিত, যাতে করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা যায়।
৩. জাতীয় শিক্ষাক্রমে অবশ্যই বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি– তিনটি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে (আরবি পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা, একইসঙ্গে দেশের একটি বিশাল জনশক্তি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত)।
৪. কওমি মাদরাসায় ভালো আলেম গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ও কওমি শিক্ষাব্যবস্থার স্বকীয়তা বজায় রেখে সিলেবাসকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে এমটিটিআই ও কওমি শিক্ষা বোর্ডকে সম্প্রসারিত ও ক্ষমতায়িত করে শিক্ষকদের শিখন দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় শিক্ষকদের সরকারি এমপিওভুক্তি করা যেতে পারে।
৫. আলিয়া ও কওমি মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের মূলধারায় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাদ্রাসার ইসলামি বিষয়ের সঙ্গে সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং বাধ্যতামূলকভাবে ভাষা ও তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষায় ভাষা ও কারিগরি শিক্ষা ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৬. মাদরাসা লাইনে যথাযথ উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার ক্ষেত্রও তৈরি করতে হবে।
৭. স্কুলকলেজ পর্যায়ের শিক্ষক মূল্যায়নেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ৫০%, বিশেষায়িত জ্ঞান ২০%, জীবনমুখী দক্ষতা ১০%, নীতিনৈতিকতা ও মূল্যবোধ ১০%, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ১০%- অনুরূপ/কাছাকাছি ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়।