১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
কারিগরি ও মাদারাসা বিভাগের সচিবের সাথে শিক্ষা সাংবাদিকদের বৈঠক

‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে’

কারিগরি ও মাদারাসা বিভাগের সচিবের সাথে শিক্ষা সাংবাদিকদের বৈঠক - ছবি : নয়া দিগন্ত

আগামীতে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে আমার কিছু স্বপ্ন রয়েছে। আমি অনুভব করি কারিগরি শিক্ষা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। কারিগরি শিক্ষা ছাড়া দেশের এত বেশি বেকারত্ব দূর করা সম্ভব নয়। তাই কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা উন্নতি করতে পারবো না।

পাশাপাশি তিনি মাদরাসা শিক্ষার বিষয়েও গুরুত দিয়ে বলেছেন, ‘শিগগিরই দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলিম। তাদের বড় একটা অংশ সন্তানদের মাদরাসায় পড়াতে চান। কাজেই তাদেরকে মাইনাস করে আমরা চলতে পারবো না।’

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে বিভাগের সভাকক্ষে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সচিব এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই মাদরাসাগুলো পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে আমরা উদ্যোগও নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে দায়িত্ব নেয়ার পর ইবতেদায়ী মাদরাসা নিয়ে দুটি উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথমত, এসব মাদরাসা জাতীয়করণে অন্তত প্রথম ধাপ হিসেবে এমপিওভুক্ত করা। ইতোমধ্যে আমার অফিসারকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা এ নিয়ে কার্যক্রম শুরুও করেছেন। দ্বিতীয়ত, এসব মাদরাসায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের জন্য আলাদা প্রজেক্ট করার নির্দেশনা দিয়েছি। তারা একটি ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া শিগগির শুরু করবেন।’

ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালুর করা এবং মিড ডে মিল চালুর প্রজেক্ট নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ড. খ ম কবিরুল ইসলাম আরো বলেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোতে এক ধরনের করুণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছোটবেলায় আমাদের গ্রামে একটি ইবতেদায়ী মাদরাসা ছিল, বর্তমানে সেটি বন্ধ হয়ে সেখানে বাজার বসেছে। এসব মাদরাসাকে বাঁচানো দরকার।’

মতবিনিময় সভায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা অনুবিভাগ) মো: নজরুল ইসলাম, ড. মো: আয়াতুল ইসলাম (কারিগরি অনুবিভাগ), সামসুর রহমান খান (প্রশাসন ও অর্থ), ড. মো: সিরাজুল ইসলাম (উন্নয়ন অনুবিভাগ), মো: আজিজ তাহের খান (অডিট ও আইন), ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, সহ-সভাপতি শাহেদ মতিউর রহমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমন, মীর মোহাম্মদ জসিমসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement