বেরোবিতে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪
- বেরোবি প্রতিনিধি
- ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৩, আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৭
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) হলের সিটকে কেন্দ্র করে দু’ বিভাগের শিক্ষার্থীর মাঝে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা শুরু হয়।
সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুলের সাথে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাঝে সিট পুনর্বণ্টন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ক্যাফেটেরিয়া প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে সহপাঠীরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম এবং ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দু’ পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ আরো তিনজন আহত হন।
আহতরা হলেন, এম আই এস বিভাগের ইমরান ও ইরফান এবং ইতিহাস ও ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মুন্না বিশ্বাস।
রাত ৮ টায় উত্তেজনা বাড়তে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে উভয়পক্ষ লাঠি ও ইট-পাটকেল একে অপরের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করতে থাকে।
একপর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ইতিহাস ও ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ চালিয়ে যান। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান অভিযোগ করেছেন, তাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম।
এদিকে, ঘটনা চলাকালীন ছাত্রদলের নেতা ইয়ামিন, রাফি, বাপ্পী ও রিফাতকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের ফোন করলে ছাত্রদল নেতা রিফাত বলেন, ‘তারাই প্রক্টরিয়াল বডি। তারা ঘটনার সমাধান করে দিবেন। এ নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সাথেও রিফাত উত্তেজিত হন।’
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো: ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘এসব ঘটনা আসলে পরিকল্পিতভাবে ঘটাচ্ছেন স্বৈরাচারের দোসররা। স্বৈরাচার তো পালিয়ে গেছে কিন্তু তার প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিশেষ করে বন্ধের দিনে শুক্র এবং শনিবারে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। নয়তো হলের সিট বিনিময়কে কেন্দ্র করে ঘটনাটা এত দূর যেতো না। আজ আমাদের প্রক্টোরিয়াল বডির ওপরও দু’বার হামলা করা হয়েছে। একবার শুরুর দিকে প্রধান ফটকের সামনে এবং দ্বিতীয়বার যখন আমরা শিক্ষার্থীদের বের করে দেই প্রথম গেট দিয়ে তখন আমাদেরওপর অ্যাটাক করা হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দু’ পক্ষই অনড় অবস্থান নেয়ায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা