২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড নিয়ে সর্বশেষ যা বলল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

- ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলের মর্মান্তিক ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় হল প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তদন্ত কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত আট অভিযুক্তের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।’

‘অভিযুক্ত এই আটজনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে এবং সবার সহযোগিতা কামনা করছে।’

ধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। পরে কয়েক দফায় মারধর করা রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


হলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যায় হলে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। এমন সময় হঠাৎ তোফাজ্জল নামে যুবক হলে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা দুপুরে ছয়টি মোবাইল চুরির ঘটনার চোর সন্দেহে মূল ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে তাকে মারধর ও জেরা করতে থাকে। একপর্যায় তাকে নিয়ে হল ক্যানটিনে খাওয়ানো হয়। এরপর এক্সটেনশন ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বুক, পীঠ, হাত ও পায়ে ব্যাপক মারধর করে একদল শিক্ষার্থী।

মারধরের ফলে ওই যুককের পা থেকে রক্ত বের হতে থাকে। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে ফের মূল ভবনের অতিথিকক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর ১০টার দিকে প্রক্টোরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্যরা এলে মারধরকারীরা তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে কিছু শিক্ষার্থী ও কয়েকজন হাউস টিউটরের সহায়তায় তাকে প্রথমে শাহবাগ থানায় এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ছয় শিক্ষার্থী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান্দবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেফতার ছয় শিক্ষার্থী হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মুত্তাকীন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ (২৪), জিওগ্রাফির আল হোসেন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম।


আরো সংবাদ



premium cement
তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত চুয়াডাঙ্গায় মাদক কারবারে বাধা দেয়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম সুইসাইড নোটে ঋণের কথা লিখে বিমানকর্মকর্তার আত্মহত্যা যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে আলেমদের সাথে জুলুম করার কারণে আ’লীগের এই পরিণতি হয়েছে : আব্দুল হালিম এক বছরের মধ্যে লেবাননে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরাইলের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস ঢাবিতে ‘দলীয় রাজনীতি’ বন্ধ হলে সমন্বয়করা কি কার্যক্রম চালাতে পারবে? শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে

সকল