কর্তৃপক্ষ থেকেও নেই
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
একটি সহযোগী দৈনিকের বোয়ালমারী (ফরিদপুর) সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় খাল-বিল, বাঁওড়, নদী-নালা ও জলাশয়ে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে নির্বিচারে ছোট-বড় মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করায় এ অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মৎস্যসম্পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন পরিবেশবিদরা। আলফাডাঙ্গা উপজেলার বেড়িরহাট গ্রামের মৎস্যজীবী পবন মাঝি বলেন, ‘আমরা সারা বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। বর্তমানে দেশী প্রজাতির মাছের বড় অভাব। নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে যেভাবে মাছ মারা হচ্ছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই এই অঞ্চলের মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ জালে পানিতে থাকা পোকা পর্যন্ত মরে যাচ্ছে, যা হুমকিস্বরূপ।’
উপজেলার টিটা গ্রামের বিলে গিয়ে দেখা যায়, নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। তারা দীর্ঘ সারি বেঁধে জাল ফেলে রাখছেন। ধরা পড়ছে ছোট-বড় সব ধরনের মাছই।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার পবনবেগ গ্রামের দু’জন জেলে জানান, কিছু অসাধু জেলে অধিক মুনাফার আশায় চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এসব জালে খুব সহজেই মাছ ধরা পড়ে। বর্ষার শুরু থেকেই তারা এ জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। কারেন্ট জালের চেয়ে এই মশারি জালে পানিতে থাকা ছোট মাছ বেশি ধরা পড়ে। এতে জেলেদের বেশি আয় হয়। এ কারণে এই জাল নিষিদ্ধ থাকার পরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে যাচ্ছেন জেলেরা।
পানাইল গ্রামের সাজ্জাত হোসেন জানান, শুধু টিটা বাঁওড়ে কয়েক হাজার চায়না দুয়ারি জাল রয়েছে। এ অঞ্চলে তেমন অভিযান চালানো হয় না। মৎস্যচাষি ও সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে মাছ শিকার করছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযান পরিচালনা করে মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে। তা না হলে এ অঞ্চলে দেশী প্রজাতির মাছ দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল হক শিকদার বলেন, ‘নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার বন্ধ না হলে প্রাকৃতিকভাবে দেশী প্রজাতির পুঁটি, ট্যাংরা, কৈ, শিং, মাগুর, খলিশা, শোল, টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ ও পোনা ধ্বংস হবে। বিপন্ন হবে কুচিয়া, ব্যাঙ, সাপসহ বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণী।’ মৎস্যসম্পদ রক্ষায় তিনি শিগগিরই এ জালের ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ দেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, অবৈধ নিষিদ্ধ জাল, কারেন্ট জাল বা ফাঁদ বিল-বাঁওড়, নদী-নালা, খাল ও মুক্ত জলাশয়ের প্রতি মৎস্যসম্পদের জন্য বিরাট হুমকিস্বরূপ। এদের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াসমীন বলেন, ‘আমরা এসব নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বিভিন্ন জলাশয় থেকে জাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তা আগুনে পোড়ানো হয়েছে। সবধরনের নিষিদ্ধ জাল বন্ধে মৎস্যজীবীদের সচেতন করে তোলা হবে।’
বিশেষ করে প্রশাসনের একটি কর্তৃপক্ষ থাকে। কর্তৃপক্ষ অনিয়ম দূর করে এবং দুর্নীতি দূর করে। আলোচ্য ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ আছে; কিন্তু তারা দায়িত্ব পালন করছেন না। অবিলম্বে তারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা আশা করি। তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা