চলাচলের পথ রুদ্ধ করা যায় না
- ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
একটি সহযোগী দৈনিকের ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে পিচ ঢালাই রাস্তার মাঝ বরাবর ইটের দেয়াল গেঁথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চলাচলের পথ। একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কয়েক শ’ মানুষ। এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর দিরাজতুল্লাহ মাতুব্বর ডাঙ্গি এলাকায়। ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির এমন কাণ্ডে তোলপাড় চলছে এলাকাজুড়ে। রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে জেলা পরিষদ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্গাপুর দিরাজতুল্লাহ ডাঙ্গি এলাকার মূল সড়কের সাথে শাহজাহান শেখের বাগানের পাশ দিয়ে হাসমত আলী মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত সংযুক্ত রাস্তা করা হয়। রাস্তাটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ইটের সলিং বিছিয়ে পিচ ঢালাই করা হয়। পরে রাস্তার কিছু অংশে বৃষ্টি এবং গাড়ি চলাচলে পিচ ঢালাই খুলে গেলে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে মেরামত করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
সরকারের পতন হলে এ রাস্তার পাশের জমির মালিক শাহজাহান শেখ সহযোগী ফারুখ শেখ, মোস্তফা, উজ্জ্বল, মোন্নাসহ আরো কয়েকজন ১৭ আগস্ট দিনের বেলায় রাস্তাটির মাঝ বরাবর ইটের দেয়াল তুলে পথ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত আলী মাস্টার, সাজিবুল হাসান, শিউলী বেগম, সালমান রহমান পিয়াল, সবদুল মিয়া বলেন, সরকারি রাস্তার ইট ও পিচ তুলে ফেলে সেখানে ইটের দেয়াল তুলে তাদের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএনপির নাম ব্যবহার করে এ অপকর্মটি করেছেন প্রতিবেশী শাহজাহান শেখ ও তার লোকজন। সরকারি রাস্তা বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি মোস্তফা অস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখান তাদের। এ সময় কাজে বাধা দিলে লাশ ফেলে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
সরকারি রাস্তার ক্ষতি করার ঘটনায় চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরুর যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানকে বললেও তিনি ব্যবস্থা নেননি। স্থানীয় মেম্বার বিজয় হাসান বাবলুও এ কাজে চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের ভাই ফারুখ শেখ বলেন, ‘এ রাস্তার জমি আমাদের। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জায়গা দখল করে রাস্তাটি করা হয়। আমরা তাদের বাধা দিতে পারিনি। এখন আমাদের ক্ষমতা আছে, তাই আমরা জমিটি উদ্ধার করেছি। তারা যেভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে, তেমনি আমরাও ইটের দেয়াল তুলে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে যে কথাটি বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জেলা পরিষদের প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি রাস্তা কেউ ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারে না। কারণ রাস্তাটি যখন করা হয়, কেউ আমাদের বাধা দেয়নি বা কোনো অভিযোগও দাখিল করেনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জনস্বার্থই মুখ্য, অতএব জনগণের চলাচলের পথ বন্ধ করা সমীচীন নয়। আমরা মনে করি, এ ব্যাপারে সম্মানজক সমাধানে উপনীত হওয়া যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা