১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
ছয় কোটির ট্যাংকে পানি নেই ১০ বছর

দুর্নীতির চরম উদাহরণ

-

একটি সহযোগী দৈনিকের জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, ১০ বছর ধরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে জয়পুরহাট শহরের পশ্চিমাঞ্চলের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য খনজনপুর এলাকায় নির্মিত ওভারহেড ট্যাংকটি। এই ট্যাংকটির সাথে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য লৌহদূরীকরণ প্ল্যান্ট নির্মাণ করার নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে ট্যাংকটি পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থায়।
ট্যাংক চালু করে সুপেয় পানি সরবরাহ ও অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখার দাবি স্থানীয়দের। ২০১১ সালের ২৬ জুন শহরে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন (জিওবি এডিবি) সেক্টর প্রকল্পের আওতায় জয়পুরহাট পৌরসভার খনজনপুর এলাকায় একই প্যাকেজে ওভারহেড ট্যাংক ও লৌহদূরীকরণ প্ল্যান্ট নির্মাণ শুরু করে জয়পুরহাট পৌরসভা। কিন্তু ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ করলেও লৌহদূরীকরণ প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে ১০ বছরেও চালু হয়নি সুপেয় পানি সরবরাহ। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল ছয় কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল কাজ বুঝিয়ে দিয়ে পাঁচ কোটি ৩৫ লাখ তিন হাজার ৬৬৩ টাকা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিল উত্তোলন করে; কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ওই ট্যাংক থেকে এখনো চালু হয়নি পানি সরবরাহ। জরাজীর্ণ অবস্থা ও অকেজো হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ট্যাংকসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। ট্যাংকটি বন্ধ থাকায় পূর্ব এলাকার ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা অমল চন্দ্র, বাসিন্দা দারাব উদ্দিন, আব্দুর রহিম, তৌহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, অনেকেই জানে, ট্যাংকটি চালু আছে; কিন্তু ট্যাংকটি তৈরির পর থেকে এখনো চালুই হয়নি। চালু না হওয়ায় সুপেয় পানি-সুবিধা পায়নি এলাকাবাসী। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ট্যাংকটি নির্মাণ করেছে; কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। যেসব পাম্প বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছিল সেগুলোও গায়েব হয়ে গেছে। এ এলাকায় শহরের সিও কলোনি ও বাসস্ট্যান্ডের অনেক দূরের ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। অনেকসময় ঘোলা, নোংরা ও খাওয়ার অযোগ্য পানি আসে। তাই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়াসহ দ্রুত এই ট্যাংকটি চালুর দাবি জানাই। পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর সাহেদুল ইসলাম সোহেল বলেন, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, আমি বারবার পৌরসভায় মৌখিকভাবে জানিয়েছি; কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। এখানে অবশ্যই দুর্নীতি হয়েছে, না হলে এত দিনেও কেন চালু হবে না? বিষয়টি নিয়ে আমি আবারো নতুন প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব। জয়পুরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) খালেদুল হক বলেন, শুধু ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে; কিন্তু লৌহদূরীকরণ প্ল্যান্ট করা হয়নি। এ জন্য ওই ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
পৌরসভার প্রশাসক ও উপ পরিচালক (স্থানীয় সরকার বিভাগ) সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আমি সদ্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতি চরমে না উঠলে এটি সম্ভব হয় না। সাধারণত সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়। আলোচ্য ঘটনার ক্ষেত্রেও এটি দেখা গেছে। দুর্নীতি চরমে না উঠলে এবং দায়িত্ব কেউ পালন করলে সরকারি অধীনস্থ সম্পত্তি বিক্রি করা যায় না।


আরো সংবাদ



premium cement
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আসলে কী হয়েছিল? মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করুন : তথ্য উপদেষ্টা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়ন প্রচেষ্টায় নজর ভারতের এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট নাটোরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতাসহ গ্রেফতার ৬ বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ ভিসা সমস্যার সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা মার্চেন্ট শিপিং ফেডারেশনের শহীদ পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ, আহতরা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম

সকল